IPL Auction 2022: Suresh Raina থেকে Steve Smith, Shakib থেকে Eoin Morgan, ১০ `আনসোল্ড` ক্রিকেটার
আইপিএল-এর ইতিহাসে তিনি চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সবেচেয়ে বেশি রান করেছেন। ২০৫ ম্যাচে ৩২.৫১ গড় নিয়ে তাঁর রান ৫৫২৮। বিরাট কোহলি, শিখর ধওয়ান, রোহিত শর্মার পরেই আসে সুরেশ রায়নার নাম। তবে এহেন চেন্নাই সুপার কিংসের 'চিন্না থালা' এ বার অবিক্রীত রয়ে গেলেন। ৩৫ বছরের বাঁহাতি ব্যাটার গত মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সি গায়ে চাপিয়ে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না। ১২ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ১৬০ রান।
অস্ট্রেলিয়ার রান মেশিন তিনি। এ বার বেস প্রাইজ রেখেছিলেন স্টিভ স্মিথ। তবে দল পেলেন না। এর পিছনে অবশ্য বড় কারণ হল গত মরশুমের ব্যর্থতা। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে ৮ ম্যাচে মাত্র ১৫২ রান করেছিলেন এই ডানহাতি। তাই ক্রিকেট পন্ডিতদের মতে এ বার তাঁর দিকে কেউ নজর দিল না।
আইসিসি-র অলরাউন্ডারদের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার। তাঁকে দলে নেওয়ার জন্য অতীতে নিলাম মঞ্চে ঝড় বয়ে যেত। তবে এ বার এহেন শাকিবকে একেবারেই গুরুত্ব দিল না ১০টি ফ্রাঞ্চাইজি। গত মরশুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে একেবারেই সার্ভিস দিতে পারেননি। ৮ ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল মাত্র ৪৭ রান। নিয়েছিলেন মাত্র ৪ উইকেট। তাই এ বার বাতিলের খাতায় চলে গেলেন শাকিব।
ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে তিনি অপ্রতিরোধ্য। আইসিসি টি-টোয়েন্টি তালিকার তিন নম্বরে রয়েছেন ইংল্যান্ডের এই লেগ স্পিনার। গত মরশুমে পঞ্জাব কিংসে ছিলেন। কিন্তু এহেন আদিলের দিকে ফিরেও তাকাল না কোনও ফ্রাঞ্চাইজি।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে তিনি যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্রাক্তন লেগ স্পিনারের সবচেয়ে বড় বাধা হল তাঁর বয়স। ৪২ বছরের ইমরান তাহির গত মরশুমে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। তাই এ বার তিনি ব্রাত্য রয়ে গেলেন।
এই তালিকায় সবচেয়ে হতভাগ্যের নাম অ্যারন ফিঞ্চ। তাঁর অধিনায়কত্বে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এই ফরম্যাটে তিনি সবসময় ভয়ঙ্কর। ২০২১ সালের আইপিএল-এর আগে স্বেচ্ছায় সরে গিয়েছিলেন। তবে ২০২০ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ১২ ম্যাচে করেছিলেন ২৬৮ রান। এ বার তিনিও ব্রাত্যের তালিকায় নাম লেখালেন অজি অধিনায়ক।
ইংল্যান্ডের এই মারকুটে ওপেনার গত মরশুমে পঞ্জাব কিংসে ছিলেন। মাত্র একটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন ২৬ রান। এ বার তাঁর দিকেও কেউ ফিরে তাকাল না। এই মুহূর্তে আইসিসি টি-টোয়েন্টি তালিকার পাঁচ নম্বরে রয়েছেন তিনি। তবুও রয়ে গেলেন ব্রাত্য।
২০১৯ সালে তাঁর অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। গত মরশুমে তাঁর নেতৃত্বে আইপিএল-এর ফাইনাল খেলেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে হারতে হয় চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। এহেন মর্গ্যানও কোনও দল পেলেন না। গত বছর তাঁর ব্যাটে চলছিল রানের খরা। ১৭ ম্যাচে ১১.০৮ গড় নিয়ে মাত্র ১৩৩ রান করেছিলেন। সেটাই তাঁর কাছে বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়াল।
অস্ট্রেলিয়ার 'বিগ ব্যাশ' লিগে তিনি অপ্রতিরোধ্য। বিপক্ষের বোলাররা তাঁকে সমীহ করে চলেন। তবে সেই মারকুটে ব্যাটিং আইপিএল-এর মঞ্চে দেখাতে পারেননি ক্রিস লিন। গত মরশুমে ২ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তবে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন এই ডানহাতি ওপেনার। ১৪০ স্ট্রাইকরেট রেখে করেছিলেন ৪০ রান। তবে এ বার তিনিও বাতিলের খাতায় নাম লেখালেন।
ভারতের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেও এই বাঁহাতি স্পিনার সবসময় ভয়ঙ্কর। গত আইপিএল-এর দ্বিতীয় পর্বে অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাইয়ের পরিবর্তে তাঁকে দলে নিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে এ বার তাঁর প্রতি কোনও দল আগ্রহ দেখাল না।