দুই মায়াবি চোখেই মাত বলিউড! দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে ফিরে দেখা ইরফানের উত্থান কাহিনি
৩৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি ৫০টির বেশি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারটি ফিল্মফেয়ার-সহ অর্জন করেছেন অসংখ্য পুরস্কার। তিনিই অভিনেতা ইরফান খান। ২৯ এপ্রিল ২০২০, ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জীবনযুদ্ধে হার মানেন অভিনেতা।
বলিউডে অভিষেক হয়েছিল শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার বিভাগে অস্কার পুরস্কারে মনোনীত হওয়া ‘সালাম বম্বে’ ছবির মাধ্যমে। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৮৮ সালে। তারপর বেশ কয়েকটি ছবি ফ্লপ।
ফের ২০০৩ সালে ‘হাসিল’ ও ২০০৪ সালে ‘মকবুল’ ছবি দুটিতে খল চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ সমাদৃত হন ইরফান খান। আবার উত্থানের সিঁড়ি চড়তে শুরু করেন অভিনেতা। ইতিমধ্যে তিনি কাজ করে ফেলেছেন রূপা গাঙ্গুলীর সঙ্গে বাসু চ্যাটার্জীর ছবি ‘কমলা কি মউত’ ছবিতে।
২০০৭, ‘লাইফ ইন আ মেট্রো’ ছবিটির সফলতা ইরফানের কর্মজীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই ছবিতে তার অভিনয় ব্যাপক প্রশংসিত হন। ফিল্মফেয়ার-সহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেন।
দ্য গোল, কসুর, গুনাহ, হাসিল, ফুটপাথ- তালিকাটা অনেক লম্বা। পান সিং তোমারের ভূমিকায় অভিনয় করেও সমাদৃত হন ইরফান। শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে বাফটা পুরস্কারে মনোনীত ‘দ্য লাঞ্চবক্স’ ছবিতে ইরফান খানের অভিনয় প্রশংসিত হয়।
‘হায়দার’ (২০১৪), ‘পিকু’ (২০১৫), ‘তালবার’ (২০১৫) ও ‘ব্ল্যাকমেইল’ (২০১৮), ‘অ্যামেজিং স্পাইডার ম্যান’, ‘শ্যাডোস অফ টাইম’, ‘নেমসেক’- পরিচালকদের একমাত্র পছন্দ তিনিই। আচমকা জীবনের ছন্দপতন ঘটে ২০১৮ সালেই। সেই বছর মার্চ মাসেই আচমকা ছড়িয়ে পড়েছিল ইরফানের অসুস্থতার খবর। নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার ধরা পড়ে অভিনেতার। ২০২০ তেই স্তব্ধ হয় ইরফান নামা।