কমবয়সীদের দলে টানতে পাতা ফাঁদ! আত্মসমর্পণের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল জঙ্গি (Terrorist)
কেন্দ্রীয় সরকারের হিসেব বলছে, জম্মু-কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সেইসঙ্গে ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিসের একের পর এক যৌথ অভিযান জঙ্গি দমনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Home ministry) তরফে জানানো হয়েছিল, ২০২০ সালে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ কমেছিল ৫৫ শতাংশ। যা সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি।
সেনা-পুলিস তত্পর হয়ে ওঠায় সমস্যা বেড়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলির। আর তাই এখন অন্য উপায়ে কমবয়সীদের দলে টানার চেষ্টা করছে জঙ্গি নেতারা।
কাশ্মীরের এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, আত্মসমর্পণ করার এক জঙ্গির কাছ থেকে তাঁরা চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন। জঙ্গি সংগঠনে ভর্তির প্রক্রিয়া (recruitment) এখন পুরোপুরি বদলে দিয়েছে কিছু নেতা।
সেই জঙ্গি জানিয়েছে, আগে ফাইল তৈরি করে সংগঠনের নেতারা স্থানীয় কমান্ডারদের কাছে তা পাঠিয়ে দিত। রিক্রুট-এর দায়িত্বে থাকত একটি সেল। তারাই স্থানীয় যুবকদের সংগঠনে নিয়ে আসত। কিন্তু এখন রিক্রুট-এর ধরণ বদলেছে।
সেই জঙ্গির দাবি, এখন সোশ্যাল মিডিয়া ও Mobile App-এর মাধ্যমে সংগঠনে রিক্রুট হয়। স্থানীয় কমান্ডারদের সঙ্গে এই নিয়ে আর যোগাযোগ করে না জঙ্গি নেতারা।
এছাড়া Fake Video-র মাধ্যমেও সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে তোলার চেষ্টা করে জঙ্গি নেতারা। সেই ফেক ভিডিয়োতে দেখানো হয়, সাধারণ মানুষের উপর সেনা বা প্রশাসন অত্যাচার করছে। সেইসব ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা চলে।
সেই জঙ্গি আরও জানিয়েছে, উপত্যকায় স্লিপার সেল তৈরি করে ফেলেছে আইএসআই (ISI)। আর এই কাজে তাদের সাহায্য করেছে লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-e-Toiba) নেতারা। ২০২০-র শেষের দিকে দক্ষিণ কাশ্মীরে ৪০ জন কমবয়সী ছেলেকে দলে টেনেছে জঙ্গি সংগঠনগুলি। এমনও তথ্য দিয়েছে আত্মসমর্পণ করা সেই জঙ্গি।