রীতি মেনে দর্পণ বিসর্জন দিয়ে শুরু কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বিসর্জন
অয়ন ঘোষাল: প্রথমে দর্পণ বিসর্জন। তারপর মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় রাজ পরিবারের এই প্রজন্মের রানিমা অমৃতা রায়ের দেবী বরণ। এভাবেই শুরু হল কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বিসর্জন পর্ব।
এই মূর্তির নাম রাজ রাজেশ্বরী। প্রতি ১৬ বছরে মূর্তির গড়ন পরিবর্তন হয় । এই দেবী কুমারী। তিনি ঘোটকরূপী সিংহের পিঠে সওয়ার হয়ে আসেন। 'কুমারী' প্রতিমার বিসর্জনের আগে রীতি অনুযায়ী দর্পণ বিসর্জন করা হয়।
রাজ পরিবারের বিসর্জন পর্ব শেষ হওয়ার পর শুরু হয় বাড়ির ঠাকুর ও বারোয়ারি পুজোর ঘট বিসর্জন।
মেহগনি কাঠের পাল্কিতে নিয়ে বিসর্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঘটকে। যাকে বলা হয় 'ছোট মা'। কাঁঠাল তলা বারোয়ারির ঘট বিসর্জন।
ঘট বিসর্জন উপলক্ষে পোস্ট অফিস মোড়ে লাখো মানুষের ঢল।
কৃষ্ণনগর শহরে বিগত আড়াইশো বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা।