Jagaddhatri Puja of Chandannagar: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে গর্বিত বাঙালি! কার হাতে, কবে শুরু এখানকার পুজো?
প্রায় আড়াইশো বছর আগে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণও চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টিতে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। এখনও পর্যন্ত এই পুজোয় দেওয়ান চৌধুরীদের উত্তরপুরুষের নামে সংকল্প হয়। এখানকার প্রতিমা সনাতনরীতির। সাদা সিংহ এবং বিপরীতমুখী অবস্থানে হাতি। শোনা যায়, বিসর্জনের সময় আদি কালে এই প্রতিমা জলে পড়লেই শুশুক বা সাপের দেখা পাওয়া যেত। লোকবিশ্বাসে এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রতা।
কিন্তু কীভাবে এত বিখ্যাত হল চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো? কার হাতে কী ভাবে শুরু হল এই পুজো? এইরকম নানা প্রশ্ন আমাদের মনে ভিড় করে (সঙ্গের দেবীমূর্তি চন্দননগরের উর্দ্দীবাজারের)।
ইতিহাস বলছে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তক ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী (সঙ্গের দেবীমূর্তি চন্দননগরের বাগবাজার চৌমাথা)।
জানা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের ঘনিষ্ঠ এই ইন্দ্রনারায়ণ ছিলেন চন্দননগরের ফরাসি সরকারের দেওয়ান (সঙ্গের দেবীমূর্তি চন্দননগরের দৈবক পাড়া)।
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পুজো দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণও চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন (সঙ্গের দেবীমূর্তি চন্দননগরের দশভুজতলা)।
লক্ষ্মীগঞ্জ কাপড়েপট্টির জগদ্ধাত্রী পুজো চন্দননগরে দ্বিতীয় প্রাচীনতম পূজা। ১৭৬৮ সালে চাউলপট্টির চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতান্তর হওয়ায় কাপড় ব্যবসায়ী শ্রীধর বন্দ্যোপাধ্যায় (মতান্তরে শশধর) চাঁদা তুলে এই পুজোর প্রবর্তন করেন। আর এই ভাবেই চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু। যা আজও বয়ে চলেছে নিজস্ব ঐতিহ্য ও ঐশ্বর্যের টানে (সঙ্গের দেবীমূর্তি চন্দননগরের বড় পঞ্চাননতলা)।
চন্দননগরের বাগবাজারের পুজোও অত্যন্ত প্রাচীন। এ বছর তাদের ১৮৮তম পুজো। কত ইতিহাস, কত ঐতিহ্য বিজড়িত এই পুজোর সঙ্গে।