বৈভবে, ঐতিহ্যে, আধুনিকতায় উজ্জ্বল কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো
নিজস্ব প্রতিবেদন: কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির জগদ্ধাত্রী পুজোটিকেই কৃষ্ণনগরের (মতান্তরে বাংলারও) সব চেয়ে প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পুজো বলে মনে করে থাকেন ইতিহাসবিদেরা। আজও সেই পুজো নিজস্ব ঐতিহ্য ও আড়ম্বরের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হয়ে চলেছে। কবে থেকে এ পুজো শুরু হল তা নিয়ে নানা মত। শোনা যায়, এক বছর কর জমা দিতে না পারায় রাজাকে বন্দি করে রেখেছিলেন আলিবর্দি খাঁ। রাজার মুক্তি হয়েছিল দুর্গাদশমীর দিনে। নৌকো করে ফিরছিলেন তিনি। মাঝে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তখনই স্বপ্নে এক দেবীর দেখা পান। পরে তাঁর স্বপ্ন বৃত্তান্ত নিয়ে পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করলে তাঁরা রাজাকে কার্তিকী নবমীতে জগদ্ধাত্রী পুজোর পরামর্শ দেন। সময়টা ওই ১৭৫০ সালের আশেপাশে।
তার পর সময় বহু গড়িয়েছে। নানা পটবদল ঘটেছে। রাজবাড়ির পুজোর প্রভাবে পুজো শুরু করেছেন সাধারণ মানুষও। ক্রমে জগদ্ধাত্রী বারোয়ারি পুজো হয়ে উঠেছে। দিনে দিনে সেই পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। সেই সব পুজোর মধ্যে বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বেশ কিছু পুজো। যেমন ৬ নম্বর কৃষ্ণনগর কাপড়পটি বারোয়ারি। বহুদিনের পুজো। এখানকার সাবেকি প্রতিমা নরসিংহ মাতা নামে পরিচিত।
আর একটি বিখ্যাত পুজো হল 8 নম্বর কৃষ্ণনগর কলেজস্ট্রিট বারোয়ারি। এ বার এরা থিমপুজো করেনি। প্রতিমা সাবেকি সোনার অলংকারে সজ্জিত।
৭ নম্বর কৃষ্ণনগর মালোপাড়া বারোয়ারিতেও সাবেকি প্রতিমা। শোনা যায়, এই পুজো রাজবাড়ির সাহায্যেই শুরু হয়েছিল। শুধু তাই নয়, আজও নাকি সেখান থেকে সাহায্য আসে তার পরে শুরু হয় পুজো।
৯ নম্বর কৃষ্ণনগর উকিলপাড়া বারোয়ারির প্রতিমাও সাবেকি। সুসজ্জিত মণ্ডপ। সব মিলিয়ে একটা অন্যরকম আবেদন পুজো-পরিবেশের।
খুব অল্প দিনের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ১০ নম্বর কৃষ্ণনগর নবজাগরণ ক্লাবের পুজো। এখানেও এবারে থিমের ছোঁয়া নেই। কোভিড পরিস্থিতিতে পুজোও হচ্ছে সরকারি নিয়ম মেনেই।