Cyclone Remal: ভোট আসে ভোট যায়, বদলায় না ঝোড়ো ঝড়খালির ভাগ্য
আমফান বা আয়লা। মে মাসের যে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের এপিসেন্টার হয়ে ওঠে সুন্দরবনের প্রান্তিক নদী সীমান্ত বিদ্যাধরী নদীর লাগোয়া ঝড়খালি। আর প্রতিবার একদিনের বা এক রাতের ঝড় এখানকার বাসিন্দাদের কখনও ১৫ বা ২৫ দিন, কখনও এক বা দেড় মাস বিশ বাঁও জলে ফেলে যায়। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
উদয় সরকারের বাড়ির পাশের ধান জমি, খেলার মাঠ, গোয়াল ঘর কোনকিছুই আর আলাদা করে চেনার উপায় নেই। সবটাই যেন একটা উথাল পাথাল নদী। এরকম ভাবেই বছরের পর বছর কাটিয়ে দেয় ঝড়খালি। এভাবেই জীবনের নতুন নিয়ম খুঁজে নিয়েছেন এখানকার মানুষ। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
ঝড়খালি কোস্টাল থানা এলাকার ঝড়খালি ৩ পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা উদয় সরকার। বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই। প্রায় ৫০ বছর ধরে আছেন এখানেই। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
তার কাঁচা মাটির বাড়ি গতকালের প্রবল বর্ষণ ও বিদ্যাধরীর জলোচ্ছ্বাসে হেলে গিয়েছে। মাটি গলে গলে পড়ছে বাড়ির দেওয়াল থেকে। কর্তা গিন্নির রান্না খাওয়া দাওয়া মাথায় উঠেছে। কোনক্রমে মাটির তাল দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকু। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল
এরই মধ্যে পয়লা জুন আসছে লোকসভার ভোট। ভোট দেবেন কি? কিছুটা নির্বিকার গলায় জানালেন দিতে তো একটা কাউকে হবেই। তবে লাভ হবে কিনা জানিনা। কালকের ঝড়ের পর আজ সকাল থেকে ফোনে টাওয়ার ছিল না। বেলা ১২ টা নাগাদ টাওয়ার এসেছে। খবর দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে। কখন তারা আসবেন জানা নেই উদয় সরকারের। -তথ্য ও ছবি-অয়ন ঘোষাল