জনসংঘের হাত ধরেই মাধবরাওয়ের রাজনীতি শুরু, ‘ঘর ওয়াপসি’ হল ছেলের
মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকার পড়ে যাওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। পদত্যাগ করেছেন রাজ্যের ২১ কংগ্রেস বিধায়ক। আর যাঁর পেছনে লাইন দিয়ে কংগ্রেস নেতারা বিদ্রোহ করলেন সেই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ছেড়েছেন দলের সাধারণ সদস্য পদও। কংগ্রেস শিবিরে এতবড় আঘাতকে ঘরভাঙা বলে মনেই করছেন না জ্যেতিরাদিত্যর পিসি ও বিজেপি নেতা যশোধরা রাজে সিন্ধিয়া।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে আসেন জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তারপরই স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর ফোন বন্ধ রাখার কারণ। সেই সাক্ষাতের পরেই পদত্যাগ করার চিঠি প্রকাশ করেন সিন্ধিয়া। মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে এতবড় ঘটনাকে ‘ঘর ওয়াপসি’ বলেই বর্ণনা করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পিসি যশোধরা রাজে সিন্ধিয়া।
যশোধরা বলেন, আমি খুব খুশি। ওকে শুভেচ্ছ জানাচ্ছি। জ্যোতিরাদিত্যের এই পদক্ষেপ আসলে ঘর ওয়াপসি। মাধবরাও সিন্ধিয়ার রাজনৈতিক জীবন শুরুই হয়েছিল জনসংঘের হাত ধরে। জ্যোতিরাদিত্যকে অবহেলা করেছে কংগ্রেস। যেভাবে ওকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহ স্বাগত জানিয়েছেন তাতে স্পষ্ট রাজমাতার(বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া)প্রতি তাঁরা শ্রদ্ধাশীল। সবার একটা আত্মসম্মান থাকে।
রাজ পরিবারের প্রতি বিজেপির শ্রদ্ধা রয়েছে বলেও দাবি করেন যশোধরা। তিনি বলেন, মাধবরাও সিন্ধিয়া গোয়ালিয়র থেকে ভোটে লড়তেন। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিজেপি কখনও প্রার্থী খাড়া করেনি। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার প্রতি সমান শ্রদ্ধা রয়েছে। জাতীয় স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও।
উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরই মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে যায় দলে। তরুণ মুখ হিসেবে জ্যোতিরাদিত্যাকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিল দলের একাংশ। কিন্তু কংগ্রেসের বরিষ্ঠ লবির চাপে শেষপর্যন্ত কমল নাথের পক্ষেই সায় দেন রাহুল গান্ধি। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে সেই ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটল এতদিনে। রাজনৈতিক মহলের খবর, আজই হয়তো বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য।