চাকরি যাচ্ছে কনক সরকারের, মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকে সুপারিশ করছে মহিলা কমিশন
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে যাদবপুরের অধ্যাপক কনক সরকারকে বহিষ্কৃত করার সুপারিশ করতে চলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
কলকাতায় এসে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, পড়ুয়াদের চরিত্রগঠন করাই কাজ অধ্যাপকের। উনি যে ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাতে অধ্যাপনার যোগ্যতা ওনার নেই। শ্রেণিকক্ষেই ওনার বিরুদ্ধে মারাত্নক অভিযোগ উঠেছে।
কনক সরকারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন রেখা শর্মা। তাঁর অভিযোগ, যাদবপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও সময় পাননি। এব্যাপারে যাদবপুরের প্রতিক্রিয়া, আগেই জানানো হয়েছিল ওই দিন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা থাকতে পারবেন না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়াও ছাত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার অভিযোগ জমা দেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্রীরা। নড়েচড়ে বসে স্টুডেন্ট-টিচার্স কমিটি। তিনঘণ্টার বৈঠকে কমিটি একগুচ্ছ সুপারিশ করে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না কনক সরকার।
কুমারী মেয়েদের সিল করা বোতলের সঙ্গে তুলনা করেন কনক সরকার। তাঁর সেই লেখা ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।ফেসবুক পোস্টে কনক সরকার লেখেন, সিল না করা নরম পানীয়ের বোতল বা বিস্কিট প্যাকেট কিনবেন? কুমারী মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়ার সুবিধা বোঝে না বোকা ছেলেরা।
তিনি আরও লিখেছেন, জন্মের সময় থেকে প্রাকৃতিকভাবে সিল করা থাকে মেয়েরা। কুমারী মেয়ের অর্থ মূল্যবোধ, সংস্কৃতি এবং স্বচ্ছতা। অনেক ছেলেরাই মনে করেন, কুমারী মহিলা পরীর মতো।
সমালোচনার পরও নরম হননি কনক সরকার। দাবি করেন, তাঁর বাক্ স্বাধীনতা রয়েছে। আর কোনও ভুল করেননি।