Kapil Dev 64th birthday: কপিল দেবের জন্মদিনে টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের ১০ অজানা তথ্য ছবিতে জেনে নিন

Sabyasachi Bagchi Fri, 06 Jan 2023-8:01 pm,

বর্তমান ভারতীয় দলের জন্য সমস্ত বিভাগে একজন করে প্রশিক্ষক ও স্পেশালিস্ট নিযুক্ত রয়েছেন। কিন্তু সেই স্বাচ্ছন্দ্য পেতেন না কপিল দেবরা। এমনই অবস্থা ছিল, বিশ্বকাপ খেলার জন্য ইংল্যান্ডে যখন উড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল, তখন তাদের দলে কোনও কোচ, ডাক্তার কিংবা ফিজিওথেরাপিস্ট ছিলেন না।

 

কোচ না থাকায় প্রশ্ন উঠেছিল, কে তাহলে ভারতীয় দলের দায়িত্ব নেবেন? সেই সময় এগিয়ে এসেছিলেন সিনিয়ররা। কপিল দেব অধিনায়ক হলেও দলের গুরুদায়িত্ব নিয়েছিলেন মহিন্দর অমরনাথ। তিনি কপিল ও সুনীল গাভাসকরকে সঙ্গে নিয়ে দলের প্রশিক্ষণ ছাড়াও ব্যাটিং ও বোলিং অর্ডার নির্বাচন করতেন।

 

বিশ্বকাপ ফাইনালে কার্যত সকলেই বাজি ধরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর। এবং ভারতকে কেউ একেবারেই ধরেনি জেতার জন্য, এর বড় উদাহরণ হল সেই ম্যাচের বেটিং হিসেব। সেই ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ৬৬:১ ছিল বাজির দর। তবে লর্ডসের বাইশ গজে মাত্র ১৮৩ রান করেও, ক্যারিবিয়ানদের ১৪০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৪৩ রান জয় পায় ভারত। 

সেই বিশ্বকাপে ভারতের জেতা নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বের কোনও আশাই ছিল না। আর এটির একটি উদাহরণ হল উইজেডনের মাসিক সম্পাদক ডেভিড ফ্রিথের একটি কাহিনী। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তিনি লিখেছিলেন যে ভারত ট্রফি জিতলে তিনি নিজের কথা খেয়ে নেবেন। এবং যখন অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল টিম ইন্ডিয়া, তখন পাঠকরা সেই লেখা স্মরণ করিয়ে দেন ফ্রিথকে। কথার খেলাপ না করার জন্য তিনি সত্যিই নিজের লেখার কাগজ খেয়ে নিয়েছিলেন এবং ওনার ম্যাগাজিনে সেই ছবি প্রকাশ করেছিলেন।

 

১৯৮৩ বিশ্বকাপ জেতার আশা রাখেননি খোদ ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। আর সেই কারণে টুর্নামেন্টের আগেই তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার টিকিট কেটে রেখেছিল, এই আশায় যে গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সাথে ছুটি কাটাবেন। এর মধ্যে ছিল ওপেনার কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত, যিনি নিজের স্ত্রীকে নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার জন্য টিকিট কেটে রেখেছিলেন। কিন্তু গ্রুপ পর্বে উতরে নক আউট পর্বে উঠে গিয়েছিল ভারত, যার জেরে সেই টিকিটগুলি বাতিল করতে হয়েছিল।

 

ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তী ওপেনার গর্ডন গ্রিনিজকে অসাধারণ ইনস্যুইংয়ে আউট করেছিলেন বলবিন্দর সিং সান্ধু। আর সেই অসাধারণ উইকেটের স্মরণে, দেশে ফিরে তিনি সেই মুহুর্তের ছবি দিয়ে নিজের ভিজিটিং কার্ড প্রিন্ট করিয়েছিলেন। সেই কার্ডে রয়েছে ব্যাটসম্যান বল লিভ করেছেন, এবং বলটি সোজা স্টাম্পে লেগেছে।

 

টুর্নামেন্ট শুরুর দুই সপ্তাহ আগে পাঁজর ভেঙে গিয়েছিল সন্দীপ পাটিলের। কিন্তু সেই চোট নিয়েও টুর্নামেন্ট খেলেন এবং দুর্দান্ত পারফর্মও করেন।

আজকের দিনে ভারতীয় ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচে যা অর্থ পান, এর সিকিভাগও পেতেন না সেই সময়ের ক্রিকেটাররা। সেই সময়ে প্রতি ম্যাচের জন্য সাড়ে ১২ হাজার টাকা পেতেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু সেই বিশ্বকাপ জয়ের পর বিসিসিআই দুই লক্ষ টাকার বোনাসের ঘোষণা করেছিল গোটা দলের জন্য। কিন্তু সেই পুরষ্কার অর্থ গ্রহণ করেননি সুনীল গাভাসকর। 

 

ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে প্রচন্ড খুশি হয়েছিলেন প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর। এবং ভারতীয় দলের জন্য তিনি একটি সঙ্গীতের আসর আয়োজন করেছিলেন। আর সেই আসর থেকে সংগৃহীত অর্থ ভারতের ১৪ জন ক্রিকেটারদের মধ্যে ভাগ করা হয়েছিল, যেখানে প্রত্যেক খেলোয়াড় এক লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন। 

সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের সব থেকে বড় ভরসা ইয়ান বোথামের উইকেট নিয়েছিলেন কীর্তি আজাদ। আর সেই আনন্দে ভারতীয় সমর্থকরা যখন মাঠে নেমে উল্লাস করছিলেন, বেশ কিছু সমর্থক কীর্তির পকেটে কিছু অর্থ দিয়ে যান। পরে কীর্তি বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে জানান, মোট ২৫০ পাউন্ড পেয়েছিলেন সমর্থকদের কাছ থেকে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link