মহামারীর মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা, সৎ মেয়ে সারাকে নিয়ে বিতর্ক, শ্যুটিং, মুখ খুললেন করিনা
সইফের সঙ্গে সংসার করছেন ৮ বছর ধরে। বিয়ের পর খোলামোলা ফটোশুট থেকে তৈমুরের জন্ম কিংবা ভিরে দি ওয়েডিং-এর মতো ১০০ কোটির ব্লকবাস্টার উপহার দেওয়া দর্শকদের। নিজের মতো করেই করিনা সামলে নিয়েছেন সবকিছু। তৈমুর একটু বড় হতেই এবার তাই দ্বিতীয় সন্তানের পরিকল্পনা করে ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়েছেন বেগম সাহেবা
তৈমুরের জন্মের সময় পরিস্থিতি যতটা স্বাভাবিক ছিল, এবার কিন্তু আর তা নেই। বর্তমানে করোনার জেরে প্রায় গোটা বিশ্ব জুড়ে চলছে মহামারীর প্রকোপ। ফলে সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব, প্রত্যেককেই লকডাউন মেনে ঘরের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে। লকডাউন একটু একটু করে ওঠার পর জীবন সচল হলেও, আগের মতো ছন্দে ফেরেনি কিন্তু তার মধ্যেই কাজ শুরু করে দেন করিনা কাপুর খান
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই দিল্লিতে উড়ে যান বেবো। আমির খানের সঙ্গে লাল সিং চাড্ডার শ্যুটিংয়ের জন্য মহামারীর মধ্যেই মুম্বই থেকে দিল্লিতে পাড়ি দেন করিনা। সম্প্রতি যখন লাল সিং চাড্ডার শ্যুটিং শেষ হয়, তখন আমিরের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেন করিনা। আমিরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেবো বলেন, করোনা আবহের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শ্যুটিং করাটা খুবই শক্ত কাজ। তা সত্ত্বেও আমির এবং লাল সিং চাড্ডা টিম যেভাবে তাঁকে আগলে রেখেছেন এবং শ্যুট করিয়েছেন, তার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। লাল সিং চাড্ডার এই টিমের সঙ্গে তিনি আবারও ভবিষ্যতে কাজ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন করিনা
এদিকে ১৬ অক্টোবর সইফ-করিনার বিবাহবার্ষিকী। লাল সিং চাড্ডার শ্যুটিং শেষ করে বর্তমানে পতৌদি রাজপ্রাসাদে রয়েছেন করিনা। সইফ এবং তৈমুরের সঙ্গেই সেখানে দিন কাটছে বেবো বেগমের। শোনা যাচ্ছে, পতৌদি রাজপ্রাসাদে বেশ কয়েকদিন নিরিবিলিতে সময় কাটিয়ে তবেই তাঁরা মুম্বইতে ফিরবেন। ফলে সইফ-করিনা বিবাহবার্ষিকী পালনও সেখানেই করছেন। বিয়ের ৮ বছর পরও তাঁরা যে সুখে,শান্তিতে স্প্যাগেটি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন, তা স্পষ্ট করে দেন করিনা
অন্যদিকে লাল সিং চাড্ডার শ্যুটিংয়ের জন্য সম্প্রতি যখন মুম্বই থেকে দিল্লিতে উড়ে যান করিনা, সেই সময় মাদক মামলায় সারা আলি খানের নাম জড়ানো নিয়ে জোরদার বিতর্ক শুরু হয়। শোনা যায়, সারাকে নিয়ে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা থেকে রেহাই পেতেই নাকি দ্বিতীয় স্ত্রী করিনা কাপুর খান এবং তৈমুরকে নিয়ে মুম্বই ছাড়ছেন সইফ। মাদক মামলায় সারার নাম জড়ানোর পর করিনা কোনও মন্তব্য করেননি বটে কিন্তু সইফ মুখ খোলেন। তিনি বলেন, সারার কিছু কাজ তাঁর খারাপ লেগেছে বটে কিন্তু সন্তানদের পাশে তিনি সব সময় রয়েছেন। সারা হোক কিংবা ইব্রাহিম বা তৈমুর। তিন সন্তানের জন্য তাঁর হৃদয়ে পৃথক পৃথক জায়গা রয়েছে বলে জানান সইফ আলি খান