কর্ণাটকে ২৭২ ত্রাণ শিবিরে হাজার হাজার মানুষ, বন্যাবিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন ইয়েদুরাপ্পা
টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কর্ণাটকের একটি বিরাট অংশ। রাস্তাঘাট ডুবেছে বুক সমান জলে। স্কুল-কলেজ বন্ধ। রাজ্যের পাহাড়ি এলাকাগুলির বেশিরভাগ জায়গায় ধস নেমে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন।
রাজ্যের বন্যা বিধ্বস্ত ৫১টি তালুক থেকে ৪৪,০০০ মানুষকে উদ্ধার করে রাখা হয়েছে ২৭২ টি ত্রাণ শিবিরে। এদের অধিকাংশই বেলাগাভি এলাকায়।
শুক্রবার সকালে রাজ্যের জলমগ্ন স্থানগুলি আকাশপথে ঘুরে দেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। বেশ কয়েকটি ত্রাণ শিবিরও ঘুরে দেখেন তিনি। আটকে পড়া মানুষজনকে উদ্ধারে নেমেছে বায়ু সেনা, এসডিআরএফ ও এনডিআরএফ।
গত ১ এপ্রিল থেকে টানা বৃষ্টিতে জলে ডুবেছে রাজ্যে বিভিন্ন এলাকা। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭১ জনের। শুক্রবার সকালেই উটিতে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। রাজ্যের ১,৪১০ কিলোমিটার রাস্তা, ৪,০১৯টি বাড়ি, ২১১টি সেতু ক্ষতিগ্রস্থ।
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে বেলাগাভি জেলায়। রোগি, হালোলি, উদাঘাটি, গিরডাল এলাকা থেকে ২৫ জনকে উদ্ধার করেছে বায়ুসেনা। আটকেপড়া মানুষজনের জন্য ফেলা হচ্ছে খাবারের প্যাকেট ও পানীয় জল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। রাজ্যের যেসব এলাকায় লাল সতর্কতা জারি রয়েছে তা কমলা করে দেওয়া হবে শনিবার থেকে।