মৌর্য যুগের বন্দর-এলাকা বাঁশবেড়িয়ায় কে শুরু করল হালের বর্ণিল এই কার্তিকপুজো?
ব্যান্ডেল অঞ্চলটিতে ডাচেদের বসবাস ছিল। তারা এই পুজো যেমন দেখতেও যেত তেমন নিজেরাও করত। তাদের পুজো করার ইতিহাসও পাওয়া যায়। বাঁশবেড়িয়া পুরসভার অন্তর্গত এই এলাকার কার্তিক পুজো বাংলার অন্যতম সেরা কার্তিক পুজো হিসেবে স্বীকৃত। একটা সময়ে এই কার্তিক পুজো থেকে আস্তে আস্তে অন্য দেবতার পুজোও এখানে শুরু হয়।
বাঁশবেড়িয়ার পাশের পুরসভা চুঁচুড়াতেও শুরু হয় কার্তিক পুজো। চুঁচুড়া এলাকায় কার্তিক পুজোই বেশি হয়। তবে বাঁশবেড়িয়ায় কার্তিক পুজোর সঙ্গে সব দেবতারই আরাধনা হয় এই অঞ্চলে। জ্যাংড়া কার্তিক, বাবু কার্তিক থেকে শুরু করে শিবের নটরাজ মূর্তির মতো গণেশ এমনকি গরুড় দেবতাকেও পুজো করা হয় বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে।
এই পুজোকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় কমিটি যার আওতায় রয়েছে ৬৬টি বড় পুজো। চুঁচুড়া এলাকায় ২৮ টি ও বাঁশবেড়িয়া মগরা এলাকায় ৩৮টি মোট ৬৬টি বড় পুজো কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় রয়েছে। এর বাইরেও অসংখ্য পুজো হয়। যার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় শতাধিকের উপর।
চুঁচুড়া এবং বাঁশবেড়িয়া দুই জায়গাতেই শোভাযাত্রা হয়। এবার পুজো শুরু হচ্ছে ১৭ তারিখ থেকে, শেষ হবে ২০ তারিখে। সেই দিনই নিরঞ্জন ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশাসনের দিক থেকে ইতিমধ্যেই সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাঁশবেড়িয়া থেকে ১৮টি এবং চুঁচুড়া থেকে ২৪টি পুজো শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।
চারদিন ধরে বাঁশবেড়িয়া-সংলগ্ন চুঁচুড়া এলাকায় মহা ধুমধামের সঙ্গে কার্তিক পুজোর উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এই পুজো দেখতে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় গঙ্গার এপার-ওপার দু'পারেই। শোভাযাত্রার দিন জনসমাগম আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত দু'বছর করোনার জন্য কার্তিক পুজোর এই উৎসব সেভাবে হয়নি। তবে এবারে এ অঞ্চলে কার্তিক পুজো যথারীতি ধুমধামের সঙ্গেই অনুষ্ঠিত হতে শুরু করেছে।