নব কলেবরে বিশ্বনাথ ধাম, ৩৯৯ কোটির Kashi Vishwanath Corridor-এ পুণ্যার্থীদের জন্য এলাহি ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদন : বারাণসীতে আজ মোদীর মেগা ইভেন্ট। কাশী বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন উপলক্ষে বারাণসী পৌঁছে আজ প্রথমে কাল ভৈরব মন্দিরে পুজো দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর খিরকিয়া ঘাটে গঙ্গাস্নানের পর কোমরজলে দাঁড়িয়ে গঙ্গাপুজো সারেন। গঙ্গায় ডুব দিয়ে সংকল্পও করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সঙ্গে গঙ্গার দুই ঘাটকে জুড়বে কাশী বিশ্বনাথ করিডর। আজ তার প্রথম পর্বের উদ্বোধন। ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে ৫০০০ হেক্টরের এই করিডর। ৫০ ফুট চওড়া কাশী বিশ্বনাথ করিডরকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলা হয়েছে।
পরিবেশকে রক্ষার বার্তা দিতে এই করিডরের জায়গায় জায়গায় রুদ্রাক্ষ, বেল, পারিজাত, আমলা, অশোক গাছ লাগানো হয়েছে। গোটা মন্দির চত্বর ও মন্দির চকেই গাছ লাগানোর সুব্যবস্থা রয়েছে। একইসঙ্গে ভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন বিল্ডিং বানানো হয়েছে।
সব মিলিয়ে করিডরে মোট ২৩টি বিল্ডিং রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে যাত্রী সুবিধা কেন্দ্র, পর্যটক ফেসিলেশন সেন্টার, বৈদিক কেন্দ্র, মুমুক্ষু ভবন, ভোগশালা, সিটি মিউজিয়াম, গ্যালারি বা প্রদর্শনী, ফুড কোর্ট প্রভৃতি।
৩টে ফেসিলেশন সেন্টারও বানানো হয়েছে বিশ্বনাথ ধামে। যেখান থেকে খুব সহজেই কাশী বিশ্বনাথের দর্শন পাবেন পুণ্যার্থীরা। একইসঙ্গে পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে লকার, টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা। পুজো সামগ্রী কেনার জন্য থাকছে দোকানও।
কাশী বিশ্বনাথ করিডরের প্রথম পর্বের নির্মাণ খরচ পড়েছে ৩৯৯ কোটি টাকা। তবে সম্পূর্ণ প্রজেক্টি ৮০০ কোটি টাকার। ২০১৯-এর মার্চে এই প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
যদিও সমাজবাদী পার্টি প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব দাবি করেছেন যে, এই প্রকল্পকে অনুমোদন দিয়েছিল তাঁর সরকার-ই। আর তার প্রমাণও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগে ৩০০০ স্কোয়্যার ফিট মত এলাকা নিয়ে ছিল কাশী বিশ্বনাথ মন্দির চত্বরটি। আর সেটা ছিল ঘিঞ্জি, অপরিষ্কার। এরফলে পুণ্যার্থীদের অসুবিধায় পড়তে হত।
এখন নবনির্মিত এই কাশী বিশ্বনাথ করিডর ৫০০০ হেক্টর এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে। যা অনেক বেশি সুসজ্জিত ও পরিষ্কার। এরফলে তীর্থযাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে বলে জানিয়েছে যোগী প্রশাসন।
বিশ্বনাথ ধাম সংস্কারের জন্য কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের আশপাশে প্রায় ৩০০ সম্পত্তি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে খবর। ১৪০০ মানুষকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে।
এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধর্মীয় মঠ, শিল্পী, রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও অন্যান্যরা মিলিয়ে প্রায় ৩০০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।