অবিশ্বাস্য! কাশ্মীরের পুরভোটেও `রং দে গেরুয়া`

Sat, 06 Oct 2018-8:49 pm,

একটা সময়ে ছিল যখন কাশ্মীরে বিজেপির কোনও অস্তিত্বই ছিল না। কিন্তু সময় বদলে গিয়েছে। কাশ্মীরের পুরভোটে বড়সড় জয় পেল গেরুয়া শিবির। কাশ্মীরের সাতটি পুরসভা দখল করল নরেন্দ্র মোদীর দল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরেই জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি-র সঙ্গে জোট সরকার ভেঙে দেয় বিজেপি। ফলে এই জয় বেশ তাত্পর্যপূর্ণ বিজেপির কাছে। 

বলে রাখি, অনুচ্ছেদ ৩৫এ তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে নির্বাচন বয়কট করে পিডিপি ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। কাশ্মীরের ২০টি পুরসভার মধ্যে ভোটগ্রহণ হতে চলেছে  মাত্র ৪টিতে।  

৫৯৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৫০টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। এর মধ্যে ৭৪টি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা। এর মধ্যে মাত্র ৪জন কাশ্মীরি পণ্ডিত। এ থেকেই গোটা ছবিটা স্পষ্ট।    

সবচেয়ে তাত্পর্যপূর্ণ দক্ষিণ কাশ্মীরের সন্ত্রাসপ্রবণ কুলগাম, পুলওয়ামা ও অনন্তনাগের মতো এলাকাতেও জিতেছে বিজেপি। কাশ্মীরের বিজেপি মুখপাত্রের কথায়, প্রথমবার কাশ্মীরের পুর নির্বাচনে জয় পেয়েছি। 

 

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেও একটা সময়ে প্রার্থীও দিতে পারত না গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, দক্ষিণ কাশ্মীরের ৬টি পরিষদে ক্লিনসুইপ করেছে তারা।

বিজেপির দাবি, কাশ্মীরে ৪ বছরে আগে ১৪ হাজার কর্মী ছিল তাদের। সেই সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজারে। কর্মী সংখ্যায় কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় দল তারাই।

পুরভোটের বিজেপির সাফল্যের কারণ হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন বলে দাবি করছেন নেতারা। তাদের দাবি, কাশ্মীরে ৩৫০টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়াই অনেক বড় ব্যাপার। এখানে আগে বিজেপির পতাকা বহনের লোকও খুঁজে পাওয়া যেত না।

তবে একটা কথা অনস্বীকার্য, পিডিপি ও এনসি নির্বাচন বয়কট করায় লাভবান হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, এটা বিরোধীদের নাটক। নির্দল চিহ্নে ওরা লড়াই করেছে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link