Kedarnath Cloudburst Updates: কেদারনাথে কেন বারবার এই ভয়ংকর অভিশাপ নেমে আসে? জানুন রহস্য...
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি স্বয়ং জানিয়েছেন, কেদারনাথের ঘোড়াপারাওতে প্রচুর বোল্ডার পড়েছে। ফলে, লিনচৌলি, বড়ি লিনচৌলি, ভীমবলি প্রভৃতি জায়গায় মানুষ আটকে পড়েছেন। সমস্ত তীর্থযাত্রীদেরই ধৈর্য ধরে নিরাপদ জায়গায় থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।
২০১৩ সালের সেই বিপর্যয়ের পরে আবার এই ২০২৪! কিন্তু কেদারনাথে কেন বারবার এমন বিপর্যয়?
মনে করা হচ্ছে, সেখানে ক্রুদ্ধ হয়েছেন শিব, ক্রুদ্ধ হয়েছেন কেদারনাথের রক্ষক স্বয়ং ভৈরব। কেদারনাথ চারধামের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যার মধ্যে রয়েছে যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথ। মন্দিরটি ১২০০ বছরেরও বেশি পুরনো। ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে কেদারনাথ সর্বোচ্চ। কিন্তু কেন এহেন কেদারকে ঘিরে রোষানল জ্বলছে ভৈরবের?
আবার এমনও বিশ্বাস যে, কেদারনাথেকে রক্ষাও করেন স্বয়ং ভৈরব-ই! কেদারমন্দির বন্ধ থাকার সময় তিনি কেদারনাথের চারপাশের জমিকে অশুভ শক্তির প্রকোপ থেকে রক্ষা করেন!
অনাচারের জন্য। প্রকৃতিতে ধ্বংস করার জন্য, শিবধাম হিমালয়কে নানা ভাবে বিব্রত করার জন্য রুষ্ট হচ্ছেন শিব-- এমনই বিশ্বাস এক শ্রেণির ভক্তের।
প্রকৃতি কেদারনাথের সঙ্গে ২০১৩ সালের জুনেও ভয়ানক খেলা খেলেছিল। ক্লাউডবার্স্ট ও ল্যান্ডস্লাইডের জেরে শোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ প্রায় সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সরকারি নথি অনুযায়ী, ১৯৭ জন নিহত, ২৩৬ জন আহত এবং ৪০২১ জন নিখোঁজ হয়েছিলেন সেবার। আকস্মিক বন্যা উত্তরাখণ্ডের পাঁচ জেলাকে প্রভাবিত করেছিল-- মোট ২১১৯ টি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেবার 'চোরাবারি তাল' ভেঙে যায় এবং মন্দাকিনী নদীতে ভয়ংকর স্রোত নামে! বন্যায় উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং পশ্চিম নেপালের বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধস হয়েছে যার ফলে বাসিন্দা এবং পর্যটকদের মৃত্যুর পাশাপাশি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেদারনাথ উপত্যকায়। পুরনো নথি বলছে, এলাকাটিতে ১৮৯৩, ১৯৬৮ এবং ১৯৭০ সালেও একই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটেছিল।