প্রাণের বাজি রেখে কেরলে দুর্গতদের উদ্ধার করছে সেনা, দেখুন সেই সব ছবি
কেরলে প্রতিকূল আবহাওয়াতে দুর্গতদের এয়ারলিফ্ট করছে ভারতীয় সেনা। জলের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের আকাশপথে উদ্ধার করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয় শিবিরে। একইসঙ্গে উঁচু জায়গাগুলিতে পাঠানো হচ্ছে ত্রাণ।
টানা বৃষ্টি বিপর্যয়ের মুখে অসহায় কেরল। মৃতের সংখ্যা সাড়ে তিনশো ছুঁইছুঁই। বানভাসী সাড়ে তিন লক্ষ। এখানেই শেষ নয়। রবিবার রাজ্যের এগারোটি জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
যুদ্ধকালীন তত্পররতায় কেরলে কাজ করছে সামরিক বাহিনী।
দুর্গম এলাকাগুলিতে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছে বায়ুসেনার কপ্টার। জলবন্দি চেঙ্গানুর শহরে শনিবার বিকেলে পৌছেছে সাহায্য।
নৌসেনার ৪২ টি, স্থলসেনার ১৬ টি ও উপকূল রক্ষী বাহিনীর ৩৯ টি দল মোতায়েন। কাজ করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৫৮ টি দলও।
শনিবার ২৫০০ মানুষকে উদ্ধারের কথা জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
আলেপ্পিতে আচান কোভিল নদীর গ্রাসে গেছে কোল্লাকাদাভু গ্রাম। বাঁশের ব্রিজ তৈরি করে গ্রামবাসীদের উদ্ধার করেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
এর্নাকুলামে কুজকি গ্রামে পঞ্চাশজনকে উদ্ধার করেছে নৌসেনা।
মঙ্গলম বাঁধ সংলগ্ন আদিবাসী গ্রামে গাছ কেটে ব্রিজ তৈরি করে ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে।
ত্রাণশিবিরে রয়েছেন সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ। তবে প্রশাসনের মূল মাথাব্যথা বানভাসিদের নিয়েই।
লাগাতার বৃষ্টিতে বানভাসি আলেপ্পির চেরিয়ানাড়। ভেনমনি গ্রামের রাস্তায় নেমেছে নৌকা।
পালক্করে ধ্বংসের ছবি। একাধিক রাজ্যসড়ক হয় জলের তলায়, নয় চলার অযোগ্য।বাড়ি ঘরদোর ভেঙে বিপর্যস্ত জনপদ।
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বহুতল। পাহাড় ভেঙে হুড়মুড়িয়ে এগিয়ে আসছে কাদার ধস। নদীর ওপর দোমড়ানো-মোচড়ানো সেতু। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে কেরালার ছবি দেখে বুক কেঁপে যাচ্ছে।