প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা আজও, কেরলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকাজ
বিরাম নেই বৃষ্টির। বানভাসি কেরলের মৃতের সংখ্যা বাড়ছে তড়তড়িয়ে। কয়েকটি জেলা বাদে প্রায় সব এলাকা ডুবে গিয়েছে জলের তলায়। কয়েক লক্ষ কেরলবাসী ঘরছাড়া। শরণার্থী শিবিরে যাঁদের এখনও ঠাঁই হয়নি, মন্দির, মসজিদ কিংবা উঁচু ভবনের ছাদে খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক, এই মুহূর্তের কেরলের পরিস্থিতি:
৮ অগস্টের পর বন্যার পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটায় ১৬৪ জন মৃত্যু হয়েছে। মৃত বেড়ে দাঁড়াল ৩৫৭।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হেলিকপ্টারে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছেন। আরও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে ১০০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয় কেরলকে। পাশাপাশি উদ্ধারকাজে আরও হেলিকপ্টার, বোট এবং আনুষাঙ্গিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র।
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ কেরলে বিজেপি সরকার না থাকায় দ্বিচারিতা করছে কেন্দ্র। বন্যার জেরে রাজ্যের ভয়াবহতা বিচার করে ২০০০ কোটি টাকা সাহায্য চেয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। এমনকি কেরলকে জাতীয় বিপর্যয় হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন রাহুল গান্ধী।
কেরলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা, নৌসেনা, বায়ুসেনা এবং উপকূল রক্ষী বাহিনী। এক সঙ্গে ৩৮টি হেলকপ্টার কাজ করে চলেছে। সেনার ১০ কলাম পাঠানো হয়েছে কেরলে। মোতায়েন করা হয়েছে ৭৯০জনের ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাক ফোর্স। নৌসেনার ৮২টি দল কাজ করছে। উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর ৪২টি দলকে।
ভারতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, শনিবার নতুন করে তিরুঅন্তপুরম, কোলাম এবং কাসারাগোদ ছাড়া বাকি সব জেলায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু দুর্গম এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ায়, পৌঁছতে পারছেন না উদ্ধারকারী দল। প্রায় ১০ হাজার মানুষ এখনও আটকে সে সব জায়াগায়।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পেরিয়ার নদীতে ঘণ্টায় ৯১৩ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে পেরিয়ার-সহ অন্যান্য নদীগুলি।
টেলকম সংস্থা এয়ারটেল এবং বিএসএনএল চালু করেছে এক হেল্পলাইন। ১৯৪৮ নম্বরে ফোন করে নিখোঁজ ব্যক্তির খবর জানা যাবে। নিখোঁজ ব্যক্তির শেষ লোকেশন জানিয়ে দেবে তারা।