জন্মদিনে কিশোর কুমার, জানুন কিংবদন্তি গায়কের কিছু অজানা তথ্য
১৯২৯ সালের মধ্যপ্রদেশের খান্ডোয়াতে এক বাঙালি পরিবারে জন্ম গ্রহণ কিশোর কুমার। আজ তাঁর ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী।
তাঁর আসল নাম আভাস কুমার গাঙ্গুলি। তাঁর ডাক নাম ছিল কিশোর। 'বোম্বে টকিজ'এ দাদা অশোক কুমারের সঙ্গে কোরাস গাওয়ার সময় নিজের নাম আভাস থেকে কিশোর করে নেন তিনি। পরবর্তীকালে সেই নামেই সকলের কাছে পরিচিতি পান।
কোনও দিন গানের প্রথাগত শিক্ষা নেননি তিনি। কে এল সায়গালকে নিজের গুরু মানতেন কিশোর কুমার। ১৯৪৮ সালে কিশোর কুমার হিন্দি ছবি 'জিদ্দি'র জন্য মরনে 'কী দুয়া কেয়া মাঙ্গু' গানে প্রথম প্লে ব্যাক করেন।
কেরিয়ারে শুরুর দিকে কিশোর কুমার অভিনীত কিছু ছবিতে তাঁর লিপে গান গেয়েছিলেন মহম্মদ রফি। 'সারারত' ও 'রাগিনী' ছবিতে কিশোর কুমারের লিপে গান গাওয়ার জন্য মাত্র ১ টাকা করে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন মহম্মদ রফি।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কান্ট্রি সিঙ্গার জিমি রডগার্স ও টেক্স মর্টনের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কিশোর কুমার ‘ইয়ডলিং’ শিখেছিলেন।
সারা জীবনে বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাতি, অসমীয়া, কন্নড়, ভোজপুরি, উর্দু, মালায়লম সহ বিভিন্ন ভাষায় ২ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন কিশোর কুমার।
এতগুলি ভাষায়, এত গান গাইলেও কিশোর কুমারের ঝুলিতে মাত্র ৮টি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড।
কিশোর কুমার তাঁর জীবনে মোট ৪ বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাঁর প্রথমা স্ত্রীর নাম রুমা গুহঠাকুরতা, ১৯৬০ সালে তিনি দ্বিতীয়বার অভিনেত্রী মধুবালাকে বিয়ে করেন। ১৯৬৯ সালে মধুবালার মৃত্যুর পর যোগিতা বালিকে বিয়ে করেন যে বিয়ে ১৯৭৬ থেকে ৭৮ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল। পরবর্তীকালে লীনা চন্দাভরকারকে বিয়ে করেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর সঙ্গেই ছিলেন কিশোর কুমার।
২০০৪ সালে কিশোর কুমারের জন্মদিনের দিন সুপার কম্পিউটারকে কল্পনা চাওলার নামে নামকরণ করেছিল নাসা। নাম রাখা হয়েছিল কে সি।
শোনা যায়, টাকা পয়সার বিষয়ে ভীষণই হিসেবি ছিলেন কিশোর কুমার। তিনি কাজের আগে পুরো টাকা দিয়ে দিতে বলতেন।