World Asthma Day: অ্যাজমার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এইসব রোগ, সতর্ক হোন এখনই
অ্যাজমা রোগীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। আজ বিশ্ব অ্যাজমা দিবসে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মনে করিয়ে দেওয়ার মতো বিষয় হল অ্যাজমার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে আরও অনেককিছু। অ্যাজমা নিজে একটি রোগ। এর পাশাপাশি তৈরি হয়ে যাচ্ছে আরও অনেকগুলো রোগ।
সাধারণভাবে একে বলা হয় ন্যাজাল অ্যালার্জি। অ্যাজমার সঙ্গেই জড়িয়ে থাকে এই রোগ। একে কোনও রেণু, ধুলো থেকে অ্যালার্জি তৈরি হয়। অ্যাজামর পাশাপাশি এই ন্যাজাল অ্যালার্জি নিয়েও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
অ্যাজমার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ। দুটো রোগ একেবারেই আলাদা হলেও অ্যাজমা থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষকরে যারা বয়স্ক মানুষ তাদের এই সমস্যা খুবই কমন। এতে ফুসফুসে অক্সিজেন কম যায়। ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্বাভাবিক।
গ্যাস্ট্রোইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ ও অ্যাজমা অনেকসময় একসঙ্গে দেখা দেয় । স্টোম্যাকে অ্যাসিড জমলে শ্বাসনালীতে সমস্যা হয়। এর ফলে কফ বাড়ে, শ্বাসনালীর সমস্যা হয়। লাইফস্চাইল বদল করলে এতে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
ওবেসিটি থাকলে অ্যাজমা বাড়ে, এমনটাই লক্ষ্য করা যায় সাধারণত। অত্যাধিক মোটা হয়ে গেলে তা শ্বাসনালীতে চাপ দেয়। এতে অ্যাজমার সমস্যা বাড়ে। এই সমস্যার সঙ্গ লড়াই করাও বেশ কঠিন। এক্ষেত্রে ওজন কমিয়ে, ডায়ট করে পরিস্থিতি ঠেকান দেওয়া যেতে পারে।
অ্যাজমার সঙ্গে এই রোগও হতে পারে। এতে সাইনাস ফুলে যায়। এটি থেকে যেতে পারে টানা ১২ সপ্তাহ। সাইনাসের সমস্যা হলে অ্য়াজমা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিতে পারে। ওষুধে কাজ না হলে অনেক ক্ষেত্রে অপারেশনও করতে হতে পারে।
অ্যাজমার সঙ্গে প্রায় হাত ধরে চলতে পারে স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত। এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শ্বাস প্রশ্বাস থমকে যেতে পারে। এতে রাতবিরেতে অ্যাজমার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এরকম সমস্যা হলে দ্রুত চিকিত্সকের কাছে যাওয়া উচিত।
অ্যাজমা থাকলে ডিপ্রেসন ও অ্যাংজাইটি বেড়ে যেতে পারে। এতে অ্যাজমা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিতে পারে। এতে মানসিক চিকিত্সকের পরামর্শ নিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।