MARCOS: মার্কোস নামেই শত্রুপক্ষ কাঁপে থরথরিয়ে! চিনুন নৌসেনার ভয়ংকর এলিট কমান্ডো ফোর্সকে
মার্কোস নিয়ে আলোচনার করার আগে জানতে হবে যে, ভারতীয় সেনা কোন ৭ বিশেষ ফোর্সের জন্য় গর্ব করে। তারা হল- MARCOS, National Security Guard ওরফে NSG, Para SF, Garud Commando Force, Ghatak Force, COBRA, Special Frontier Force। এই সাত বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত বাহিনীর মধ্য়ে যাদের কথা সারা পৃথিবী জানে তারাই হল মার্কোস। শুধু নাম শুনেই শত্রুপক্ষ কাঁপে থরথরিয়ে। US Navy SEALS কে মডেল হিসাবে ধরে বিশ্বের প্রতিটি দেশের নৌবাহিনী। সেখানে নেভি সিলসের সঙ্গেই উচ্চারিত হয় মার্কোসের নাম। বোঝাই যাচ্ছে কতটা হেভিওয়েট।
১৯৮৭ সালে তৈরি হয় ভারতীয় নৌসেনার বিশেষ ফোর্স মার্কোস। মেরিন কমান্ডো ফোর্স থেকেই মার্কোসের উৎপত্তি। অত্যন্ত দক্ষ এই বাহিনী তাদের ব্যতিক্রমী যুদ্ধ ক্ষমতা এবং অতুলনীয় সাহসিকতার জন্য সমাদৃত। জল-স্থলে যুদ্ধ করায় আলাদাই দক্ষতা মার্কোসের। সামুদ্রিক ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বিশেষ ভাবে পারদর্শী। সাহস এবং দক্ষতার জন্য়ই মার্কোসের আজ এই সুনাম।
বলা ভালো মার্কোস কী পারে না? মার্কোস জলে-স্থলে-আকাশে সব ধরনের পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারে। তারা অভিজ্ঞতা এবং চূড়ান্ত পেশাদারিত্বের জন্য বছরের পর বছর ধরে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে আসছে। মার্কোস ভারতীয় সেনার হাত ধরে নিয়মিত জম্মু-কাশ্মীর, ঝিলাম নদী এবং উলার লেক জুড়ে কাউন্টার ইনসারজেন্সি অপারেশনের সঙ্গেই বিশেষ সামুদ্রিক অভিযান পরিচালনা করে। মার্কোসের মূলমন্ত্র হল -The few The Fearless
পবন, সাইক্লোন, ক্যাকটাস এবং লিচ অপারেশনে ব্যতিক্রমী কর্মক্ষমতা দেখিয়ে স্বীকৃতি পেয়েছে মার্কোস। অপারেশন পবন ছিল ভারতীয় শান্তি রক্ষা বাহিনীর অংশ। এটিই ছিল প্রথম মিশন। যা ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কার জাফনা এবং ত্রিনকোমালির পোতাশ্রয়গুলি দখলে সাহায্য় করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কার্গিল যুদ্ধে ঝড় তুলেছিল মার্কোস। ২০০৬ সালের মুম্বই হামলাতেও ত্রাতার ভূমিকায় উত্তীর্ণ হয়েছিল মার্কোস।
মার্কোস টিমের প্রত্যেক সদস্যকে ভারতীয় নৌবাহিনী থেকে বেছে নেওয়া হয়। বছর কুড়ির গোড়ার দিকেই তাদের চিহ্ণিত করা হয়। বলাই বাহুল্য অত্য়ন্ত কঠোর প্রশিক্ষণ এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পাস করলেই মার্কোস হওয়া যায়। নির্বাচনের মানদণ্ড খুবই কঠোর। এয়ারবোর্ন অপারেশন, কমব্যাট ডাইভিং, কাউন্টার টেররিজম, অ্যান্টি হাইজ্যাকিং, অ্যান্টি-পাইরেসি, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, অনুপ্রবেশ ও বহিষ্কার কৌশল, বিশেষ ভাবে উদ্ধার এবং অপ্রচলিত যুদ্ধ সবই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। বোঝাই যাচ্ছে আগুনের ফুলকি পরিণত হয় দাবানলে।