Men Health : মেনোপজ কিন্তু পুরুষদেরও হয়! এই সমস্যাগুলি দেখলেই সাবধান...
‘মেনোপজ’ কথাটি শুনলেই আমাদের প্রথমে মহিলাদের কথা মাথায় আসে। কিন্তু মেনোপজ যে পুরুষদেরও হয় সে সম্পর্কে খোদ পুরুষদেরই ধারণা নেই। মহিলাদের মতই পুরুষদেরও একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর স্বাভাবিক ছন্দে মেনোপজ আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই বিষয়ে সমাজে সচেতনতার বড়ই অভাব।
সাধারণত ৪০-৫০ বছর বয়সী কোনো মহিলার টানা ১ বছর পিরিয়ড না হলে ডাক্তাররা অনুমান করে নেন তাঁর মেনোপজ শুরু হয়ে গেছে। সেরকমই পুরুষদের ক্ষেত্রেও ৪০ বছরের পর থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে। একেই অ্যান্ড্রোপজ বা মেল মেনোপজ বলা হয়।
অ্যান্ড্রোপজের সময় পুরুষদের মানসিক ও শারীরিক নানা পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য়ে মূলত কামশক্তি কমে যায় বলে অধিকাংশ পুরুষ এই ঘটনাটিকে পুরুষত্বের কলঙ্ক ও লজ্জাজনক মনে করেন। তাই এর জন্য় কোনপ্রকার চিকিৎসার সাহায্য় তাঁরা নেন না।
এছাড়া শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে শুক্রাশয় ছোট হয়ে যাওয়া, পেট ও বুকের কাছে চর্বি জমা, শরীরের লোম ঝরে যাওয়া, ক্লান্তি দেখা যায়। মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে অবসাদে ভোগা, আত্মবিশ্বাসের অভাব,যৌন মিলনে অনীহা দেখা যায়।
তবে মেনোপজ ও অ্যান্ড্রোপজের বেশ কিছু পার্থক্য় আছে। মেনোপজের তুলনায় অ্যান্ড্রোপজ বেশ ধীর গতিতে হয়। মেনোপজে ডিম্বাশয় পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় হয় গেলেও, অ্যান্ড্রোপজে শুক্রাশয় সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় হয় না। সুস্থ পুরুষদের ক্ষেত্রে ৮০ বছর বয়সেও শুক্রাণু তৈরি হতে পারে।
যেহেতু মেনোপজে মহিলাদের ডিম্বাণু তৈরি হওয়া সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে যায় সেহেতু তাঁরা আর মা হতে পারে না। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে তা হয় না। কিন্তু শুক্রাণুর ক্ষমতা কমে যাওয়ার জন্য জটিলতা দেখা যেতে পারে।