শ্রাবণ মাসে শিবপুজোর এই বিধি মানলে নিশ্চিত রোগমুক্তি
শুরু হয়ে গিয়েছে শ্রাবণ মাস।গোটা মাসজুড়ে মহাদেবকে প্রসন্ন করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না শিবভক্তরা। কথিত রয়েছে, শ্রাবণে পুজো করলে সন্তুষ্ট হন মহাদেব। মেলে রোগব্যধি থেকে মুক্তি।
কথিত রয়েছে, এই মাসেই মা পার্বতীর সঙ্গে ভূ-লোকে ভ্রমণে আসেন ভোলেনাথ। তখনই ভক্তদের সমস্ত সমস্যার সমাধান করেন। কীভাবে ভক্তের ভগবান শিবকে প্রসন্ন করবেন-
ভক্তরা সকলেই বিশ্বাস করেন, নিজের নামের মতোই ভোলা শিব। আবার স্ত্রীর মৃত্যুর শোকে তাণ্ডবও করতে পারেন। সে জন্যই শিবের মতো স্বামী প্রার্থনা করেন মহিলারা।
অল্পেই সন্তুষ্ট হন শিব। তাঁর পুজোর উপাচারও সহজে জোগাড় করা যায়। ধুতরো বা আকন্দ ফুল, কাঁটা ফল দিয়েই শিবপুজো করা যায়। বাড়িতে বসেও মহাদেবের অভিষেক করতে পারেন।
সকালে স্নান করে জলের মধ্যে দুধ ও কালো তিল নিন। সেই জল দিয়ে শিবের অভিষেক করুন। তামার পাত্রই ব্যবহার করা শ্রেয়। তামা ছাড়া অন্য কোনও ধাতুর পাত্র ব্যবহার করবেন না।
অভিষেক করার সময়ে 'ওঁ নমঃ ভগবতে রূদ্রায়' মন্ত্রের জপ করুন।শিবের অভিষেক করার সময়েই রোগমুক্তির প্রার্থনা করুন।
প্রতি সোমবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের পর সংকল্প করুন, আপনার মনোষ্কামনা পূর্ণ হলে কাঁচা দুধে শিবের অভিষেক করবেন।
১১ হাজার বা ২১ হাজার বা ১.২৫ লক্ষ বার মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের জপ করতে পারেন। তবে মন্ত্র পাঠের আগে বেশ কয়েকটি বিধি মানতে হয়। এনিয়ে শাস্ত্রবিশারদদের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা করে নিতে পারেন।