IPL 2025 All Retention Rules Explained: ১৮ কোটিই সর্বোচ্চ দর, ধোনিও হবেন `আনক্যাপড`! নিয়মের নোংরেই আমূল বদল আইপিএলে

Sun, 29 Sep 2024-3:15 pm,

গত জুলাইয়ে  ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির মালিকদের সঙ্গে বিসিসিআই বৈঠকে বসেছিল। গঠনমূলক আলোচনার পরই বেঙ্গালুরুতে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকের পরেই আইপিএলে ২০২৫-২৭ পর্যন্ত খেলোয়াড়দের ধরে রাখার নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছে। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার রেগুলেশন ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চালু থাকবে। 

বিসিসিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ১০ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের বিদ্যমান স্কোয়াড থেকে মোট ৬ খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে পারে। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি 'রিটেনশন' বা 'রাইট টু ম্যাচ' ওরফে আরটিএম ব্যবহার করে তা করতে পারবে। আইপিএল আরও একটি মেগা নিলাম দেখার পথে

রিটেনশন এবং আরটিএম-এর জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির কাছে সংমিশ্রণে বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। এই ৬ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে সর্বাধিক ৫ জন ক্যাপড খেলোয়াড় (ভারতীয় বা বিদেশি) এবং সর্বাধিক ২ জন আনক্যাপড (জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক না হওয়া) খেলোয়াড় থাকতে পারবে।

আইপিএল ২০২৫-এ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির নিলামের মোট বাজেট ১২০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। মোট বেতন সীমার মধ্যে থাকছে নিলামের বাজেট, কর্মদক্ষতার উপর অতিরিক্ত পারফরম্যান্স পে এবং ম্যাচ ফি। ২০২৪ সালে মোট বেতন সীমা (নিলামের বাজেট + অতিরিক্ত পারফরম্যান্স পে) ছিল ১১০ কোটি টাকা, যা ২০২৫ সালে হবে ১৪৬ কোটি টাকা, ২০২৬ সালে তা হবে ১৫১ কোটি টাকা এবং ২০২৭ সালে সেটাই দাঁড়াচ্ছে ১৫৭ কোটি টাকায়। প্রতি বছরই বাড়বে। 

প্রথমবারের মতো আইপিএলের ইতিহাসে ম্যাচ-ফি চালু করা হয়েছে। প্রতি খেলোয়াড় (ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার-সহ) ম্যাচপিছু ৭.৫ লক্ষ টাকা করে ম্যাচ-ফি পাবেন। এটি তার চুক্তিবদ্ধ পরিমাণের উপর অতিরিক্ত উপার্জন হবে। 

 

যে কোনও বিদেশি খেলোয়াড়কে মেগা নিলামের জন্য নথিবদ্ধ করতে হবে। যদি কোনও বিদেশি খেলোয়াড় নথিবদ্ধ না হন, তবে তিনি পরবর্তী বছর নিলামে যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।

 

কোনও খেলোয়াড়, নিলামে নথিভুক্ত হওয়ার পর যদি নির্বাচিত হন এবং মরসুম শুরুর আগেই যথাযথ কারণ না দর্শিয়ে যদি জানিয়ে দেন যে, তিনি খেলতে পারবেন না। তাহলে সেই খেলোয়াড়কে আগামী দুই মরসুমের জন্য টুর্নামেন্ট এবং নিলাম থেকে নিষিদ্ধ করা হবে।

একজন ক্যাপড ভারতীয় খেলোয়াড়ও আনক্যাপড হয়ে যাবেন এই নিয়মে! যদি সেই ক্রিকেটার নিলাম মরসুমের পাঁচ বছর আগে ক্যালেন্ডার বর্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (টেস্ট ম্যাচ, ওডিআই, টি২০ আন্তর্জাতিক) না খেলে থাকেন বা বিসিসিআই-এর সাথে কোনও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকেন তাহলে তিনি হয়ে যাবেন 'আনক্যাপড'। এই নিয়ম শুধুই ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য প্রযোজ্য হবে। উদাহরণ দিয়ে বললে বিষয়টি আরও সহজ হবে। কিংবদন্তি এমএস ধোনির কথাই ধরা যাক। ২০২০-র অগাস্টে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। আগামী বছর তাঁর অবসরের পাঁচ বছর পূরণ হবে। কিন্তু আইপিএলের মেগা নিলাম হয়ে যাবে অনেক আগেই। সে ক্ষেত্রে ধোনির অবসরের ক্ষেত্রে বোর্ড একটি কাট-অফ চালু করতে পারেনি। পরের বছর না হলেও ২০২৬-এর আইপিএলে ধোনি ‘আনক্যাপড’ হিসাবে খেলতেই পারেন। এমনকী ধোনিকে মাত্র ৪ কোটি টাকায় ধরে রাখতে পারবে সিএসকে। ফিরছে পুরনো নিয়ম!

 

এবার আইপিএল মিনি নিলামে ২০-২৫ কোটি টাকার লটারি লাগার সম্ভাবনাই থাকবে না কোনও বিদেশি ক্রিকেটারের! তার থেকে কমেও বিদেশি তারকাদের চুক্তির অর্থ হতে পারে। ব্য়াপারটা ঠিক কী হতে চলেছে? নতুন নিয়মে মেগা নিলামের সর্বাধিক দামি ক্রিকেটার ঠিক যত টাকা পাবেন, এবং চলতি বছর আইপিএলের সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি-র ১৮ কোটি টাকার মধ্যে যে অঙ্ক কম হবে, ২০২৬-এর মিনি নিলামে একজিন বিদেশি ক্রিকেটার সর্বোচ্চ সেই পরিমাণ অর্থই হাতে পাবেন। ২০২৫ সালের নিলামের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার এবং ২০২৫ আইপিএল রিটেনশনের সব থেকে দামি ক্রিকেটারের মধ্যে যাঁর দাম কম হবে, পরের মিনি নিলামে সেই পরিমাণ অর্থই বিদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ বলে ধরে নেওয়া হবে। আরও সহজ করে বললে, চলতি বছর কোনও ক্রিকেটারকে সর্বোচ্চ ১৮ কোটি টাকায় ধরে রাখতে পারেব আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। যদি আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে কোনও ক্রিকেটারের দার ওঠে সর্বোচ্চ ২০ কোটি, তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি-র (১৮ কোটি) পরিমাণ কম হয়ে দাঁড়াবে।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link