রাহুল গান্ধীর এই দিদিমণিকে চেনেন না কি?
গত কয়েক বছর ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় হয়েছে দেশের সব থেকে পুরনো রাজনৈতিক দল জাতীয় কংগ্রেস। পুরনো ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে আধুনিকতায় গা ভাসিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। রাহুল গান্ধী থেকে কংগ্রেসের ছোট বড় নেতা, সোশ্যাল সাইটে ক্রমশ সক্রিয়া বেড়েছে সবার। জানেন কি কংগ্রেসের এই ভোল বদলের পিছনে রয়েছে এক মহিলার মস্তিষ্ক। যাঁকে রাহুল গান্ধীর মিডিয়া গুরু বললেও ভুল হয় না। দলের নেতা-কর্মীরা একে বাতিলের খাতায় রাখলেও তাঁর মধ্যেই প্রতিভা দেখতে পান রাহুল। তার পরই একটু একটু করে বদলাতে শুরু করে কংগ্রেস।
'বিউটি উইথ ব্রেইন' বলে ইতিমধ্যে কংগ্রেসের ভিতরে খ্যাতি কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। কন্নড় চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী দিব্যা স্পন্দন ওরফে রম্যা কংগ্রেসে যোগ দিয়ে দলের চেহারাটাই বদলে দিয়েছেন। রূপের ছটার পাশাপাশি বুদ্ধিতেও বাজিমাত করেছেন তিনি।
১৯৮২ সালের ২৯ নভেম্বর কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে জন্মেছিলেন রম্যা। তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ফলে তিনিও যে কোনও দিন রাজনীতিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল আগে থেকেই।
মান্ড্যার বাসিন্দা রম্যা উটি ও চেন্নাইয়ে পড়াশুনো করেছেন। তাঁর মা রঞ্জিতা কর্ণাটক কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেত্রী। দাদু টি নারায়ণ একজন খ্যাতনামা শিল্পপতি। তাঁর আসল নাম দিব্যা স্পন্দন হলেও ফিল্মে রম্যা নামে অভিনয় করেন তিনি।
২০০৩ সালে কন্নড় ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে অভিষেক হয় রম্যার। কন্নড় ভাষায় ২ বার সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
২০১৩ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে মান্ড্য বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জেতেন রম্যা। কিন্তু ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে হারতে হয় তাঁকে।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে মাত্র ৫৫০০ ভোটে হারতে হয়েছিল রম্যাকে। তার পর থেকে কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল কমিউনিকেশন শাখার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
তবে রম্যার পক্ষে এই পর্যন্ত আসা সহজ ছিল না। তাঁকে দলের মধ্যে অনেকেই শিক্ষানবিস বলে কটাক্ষ করতেন। ২০১৭ সালে তাঁকে পার্টির সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জ করেন রাহুল গান্ধী।
দায়িত্ব পেয়েই একাধিক পেশাদারকে কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের দায়িত্ব দেন তিনি। রম্যাকে যখন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তখন কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া শাখায় মাত্র ৩ জন মহিলা ছিলেন। যা এখন বেড়ে ৮৫-তে দাঁড়িয়েছে।