Jagaddhatri Puja 2024: মহাকালের কোন লগ্নে জগদ্ধাত্রীর আবির্ভাব? দশমহাবিদ্যা রূপের বাইরে কেন তিনি?
শক্তিদেবতার বহু প্রকার মূর্তির মধ্যে একটি এই জগদ্ধাত্রী। প্রসিদ্ধ দশমহাবিদ্যার রূপ ছাড়াও আদ্যাশক্তির আরও অসংখ্য রূপ পুরাণে বা তন্ত্রে রয়েছে। তারই একটি এই জগদ্ধাত্রী রূপ।
ক্যাত্যায়নীতন্ত্রে জগদ্ধাত্রীর বর্ণনা মেলে। ক্যাত্যায়নীতন্ত্রে একটি উল্লেখ আছে, কার্তিকী শুক্লা নবমীতে এই আদ্যাশক্তি জগদ্ধাত্রী প্রকটিত হন।
সেখানে বলা আছে, দেবগণের হিত, দুর্বৃত্তের দমন ও জগতের শান্তিবিধানের জন্য ত্রেতা যুগের প্রারম্ভে কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের মঙ্গলবারে এই দেবী আবির্ভূত হলেন!
শুম্ভ-নিশুম্ভের বধের পরে দেবতারা যে-ভাষায় দেবীর স্তব করেছিলেন, বলা হয়, সেখানেই দেবী জগদ্ধাত্রীর একটা ইঙ্গিত ছিল। তাঁরা বলেছিলেন-- ''বিশ্বেশ্বরী, ত্বং পরিপাসি বিশ্বং বিশ্বাত্মিকা ত্বং ধারয়সীতি বিশ্বম!'' অর্থ-- ''তুমি বিশ্বেশ্বরী, তাই বিশ্বকে পালন করো, তুমি বিশ্বাত্মিকা, তাই বিশ্বকে ধারণ করো।'' এখানে এই 'বিশ্বকে ধারণ করা'র ধারণার মধ্যেই জগদ্ধাত্রীর ইঙ্গিত নিহিত মনে করা হয়!
শ্রীরামকৃষ্ণও যেনন ঠিক এই ভাবনাতেই জগদ্ধাত্রী রূপের বর্ণনা দিয়েছেন। সহজ-সরল ভাষায় অপূর্ব সেই বর্ণনায় তিনি বলছেন-- ''জগদ্ধাত্রী রূপের মানে জানো? যিনি জগৎ ধারণ করে আছেন। তিনি না ধরলে, না পালন করলে জগৎ পড়ে যায়''!
জগদ্ধাত্রীর প্রণামমন্ত্র জানেন তো?--
''জয়দে জগদানন্দে জগদেক প্রপূজিতে। জয় সর্বগতে দুর্গে জগদ্ধাত্রি নমোহস্তুতে।। দয়ারূপে দয়াদৃষ্টে দয়ার্দ্রে দুঃখমোচনি। সর্বাপত্তারিকে দুর্গে জগদ্ধাত্রি নমোহস্তুতে।। ''