Ozone Spike: ওজন গ্যাসের আধিক্য বাড়ছে কলকাতায়, মারাত্মক বিপদ ঘনাচ্ছে মহানগরের বুকে!
করোনা নিয়ে গত দু'বছর ধরেই সমস্যায় জর্জরিত স্বাস্থ্যক্ষেত্র। এরই মধ্যে আবহাওয়ারও বিপুল পরিবর্তন ঘটেছে। মূলত কলকাতায়। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে তা হল ওজন স্তরের আধিক্য বৃদ্ধি। যা আগামী দিনে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
ওজোনস্তর হল ওজন গ্যাস (O3)-এর সমন্বয়। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে ১৫-৩০ কিমি উচ্চতায় ওজোন স্তর অবস্থিত। এই স্তর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে। বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে।
এই স্তরের পুরুত্ব স্থানভেদে এবং মৌসুমভেদে কমবেশি হয়। শীতকালে ওজনের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায় তবে তা প্রতি কিউবিক মিটারে ১০০ মিলিগ্রাম করে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকায় এমনটাই বলা হয়েছে।
কিন্তু রবিবারের কলকাতায় ভিক্টোরিয়াল মেমোরিয়াল চত্বরে ওজনের ঘনত্ব ছিল ১৬০ মিলিগ্রাম প্রতি কিউবিক মিটারে। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ এই পরীক্ষাটি করে।
যদিও দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদের আধিকারিক জানিয়েছেন শীতকালে ওজনের আধিক্য বৃদ্ধি পায়। এর সঙ্গে গাড়ির ধোঁয়া থেকে নির্গিত কার্বন বাতাসে মিশে সেই ঘনত্ব আরও বাড়িয়ে দেয় যা সাধারণ চোখে ধোঁয়াশার আকার নেয়।
পরিবেশবিদ সোমেন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন একসময় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ও ময়দান চত্বর ছিল কলকাতার ফুসফুস। সেখানে কেন এত ওজনের আধিক্য হচ্ছে তা পরীক্ষা করে দেখা উচিত। রবিবারের পরিসংখ্যান অনেকটাই চিন্তার।
সোমেন্দ্রনাথ ঘোষ সতর্ক করেন যে ইতিমধ্যেই কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ভিক্টোরিয়াল মেমোরিয়ালের মার্বেল পাথরগুলি হলদে হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও খসে পড়ছে প্লাস্টার। সবই ওজনের বাড়বাড়ন্তের জন্য।
পাশাপাশি মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যাও বাড়বে মহানগরে। কাশি, প্রায়শই গলার সমস্যা এবং গলা ভেঙে যাওয়ার মত উপসর্গ বাড়তে পারে শহরবাসীর। তাই অবিলম্বে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পরিবেশবিদেরা।