Baguiati Incident: মাথায় ছাদ ভেঙে দেহ ঢুকল মেঝেতে, খাস কলকাতায় কিশোরের মৃত্যু ঘিরে রহস্য

Fri, 02 Aug 2024-10:55 am,

অয়ন ঘোষাল: ঘরের খাটে বসে সেই সময় টিভি দেখছিল ধ্রুবজ্যোতি। তখনই  প্রথমে তিন তলার ছাদ ভেঙে পড়ে দোতলায়। তারপর দোতালার ছাদ ভেঙে পড়ে ধ্রুবজ্যোতির গায়ের উপর। অচৈতন্য অবস্থায় গুরুতর জখম ছাত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে। সেখানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় কিশোরের। 

ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি থানা এলাকার অশ্বিনীনগরে। বছর ১৫ আগে তৈরি হয়েছিল এই বাড়ি। সেই বাড়ি ভেঙেই বিপত্তি। সেই সময় এলাকারই অন্য একটি বাড়ি ভাড়া নেওয়ার জন্য কথাবার্তা বলতে গেছিলেন ধ্রুবজ্যোতির মা ও তার মেজদা। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিল ধ্রুব। 

বাড়ির বেশ কয়েক জায়গায় আগেই ফাটল দেখা দিয়েছিল। তাই অন্যত্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে থেকে এই বাড়ির সংস্কারের বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছিল মন্ডল পরিবার। একটানা বৃষ্টির জেরে দুর্বল এই বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। সকালেও গাছ কেটে বাড়ির বিভিন্ন ঝুলে থাকা বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলার কাজ চলছে। কারণ বাড়ির সামনেই গাড়ি চলাচলের রাস্তা। বাড়ির অংশ ভেঙে রাস্তায় পড়লে ফের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

গতকাল বাড়ির বিভিন্ন অংশের দেওয়াল মেশিন দিয়ে কাটা হয়েছে তাকে উদ্ধার করার জন্য। ভেঙে পড়া ছাদের অংশ সরিয়ে দেবজ্যোতিকে উদ্ধার করতে প্রায় সাত ঘণ্টা সময় লেগে যায়। বাঁশের চটা বিছিয়ে এই বাড়ির ছাদ ঢালাই করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেখানে কোনো লোহার খাঁচা বা স্ট্রাকচার শুরু থেকেই ছিল না। বাড়িটি শুরু থেকেই দুর্বল বলে জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। 

এর আগে পুরসভা থেকে এই বাড়িতে বাস করতে বারণ করা হয়েছিল। তার জেরে ইতিমধ্যেই এই বাড়ির সদস্যরা অন্যত্র ভাড়া নিয়ে থাকার জন্য বাড়ি দেখতে শুরু করেছিলেন। বাড়ির পিছনের দিকের অংশের দেওয়াল এবং খাট কেটে মানুষ প্রবেশের জায়গা তৈরি করে উদ্ধারকারী দল ভিতরে ঢোকে। দেখা যায় ওই কিশোর খাট ভেঙে মেঝেতে গর্ত হয়ে ভিতরে ঢুকে আটকে আছে। 

তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। কিশোর তার মাকে সন্ধ্যে বেলা ফোন করেছিল। মায়ের সঙ্গে একবার কথা হয়। এর পর আর ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। 

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link