Sanjay Roy | Kolkata doctor rape-murder: `আগে থেকেই মৃত নির্যাতিতা`, পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয় রায়ের বিস্ফোরক দাবি!
)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি করের ট্রেইনি চিকিত্সকের 'ধর্ষণ-খুন' এর ঘটনায় কিনারা করতে ধৃত সিভিক পুলিস সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ টেস্ট সিবিআই-এর। আর সেই পলিগ্রাফ টেস্টেই বিস্ফোরক দাবি সঞ্জয়ের! যা ঘুরিয়ে দিতে পারে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়ার অভিমুখ!
)
সংবাদ মাধ্যম TOI-এর প্রতিবেদন অনুসারে, পলিগ্রাফ টেস্টে সঞ্জয় তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছে যে, সে যখন চারতলার ওই সেমিনার রুমে পৌঁছায়, তখন আগে থেকেই নির্যাতিতা সেখানে মৃত অবস্থায় ছিল। এমনকি সঞ্জয় রায় এটাও দাবি করেছে যে, ভয়ে সে হাসপাতাল চত্বর থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
)
সূত্রের খবর, পলিগ্রাফ টেস্টের সময় সঞ্জয়কে অস্থির ও ভীত দেখাচ্ছিল। এমনকি সিবিআই অফিসাররা যখন বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরে তাকে প্রশ্ন করছিলেন, তখন সঞ্জয় রায় নানারকম বিভ্রান্তিকর দাবি করতে থাকে। যার মূল উদ্দেশ্য, সে যে এই অপরাধ করেনি, তা প্রতিপন্ন করা।
প্রসঙ্গত ৯ অগাস্ট আরজি করের সেমিনার হল থেকে ট্রেইনি চিকিত্সকের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিভিক পুলিস সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ ও ছেঁড়া ব্লু-টুথ ফোনের সূত্র ধরে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে পুলিস।
কলকাতা পুলিস এও দাবি করে যে, সঞ্জয় রায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু সম্প্রতি সঞ্জয় তার অবস্থান থেকে ইউ-টার্ন নিয়ে এটা দাবি করে যে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। সে নিরপরাধ। এমনকি সঞ্জয় জেলরক্ষীদের কাছেও একই দাবি করে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও সাইকোমেট্রিক টেস্টে ধরা পড়েছে যে সঞ্জয়ের 'পশুর মতো প্রবৃত্তি' রয়েছে। সে 'সেক্সুয়ালি পারভারটেড'। পর্নে আসক্ত। উল্লেখ্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরজি করের নির্যাতিতার সারা শরীরে ২৫টি আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। যার মধ্যে ১৬টি বাহ্যিক ও ৯টি অভ্যন্তরীণ। গভীর ক্ষতচিহ্ন ধরা পড়ে যৌনাঙ্গে।