জিভ কাটো লজ্জায়! বিশ্বের সেরা ফুড সিটির তালিকায় চেন্নাই আছে, কলকাতা নেই...
এই তালিকায় ৩৫তম স্থানে মুম্বই, ৩৯তম স্থানে হায়দরাবাদ, ৫৬তম স্থানে নিউ দিল্লি, ৬৫তম স্থানে চেন্নাই এবং ৯২তম স্থানে লখনউ। শহরগুলি তাদের নিজস্ব রন্ধন-ঐতিহ্য ও খাবারে একেবারে তাদের নিজস্ব স্বাদগন্ধের উপস্থিতির নিরিখে ঠাঁই পেয়েছে।
মুম্বই স্ট্রিটফুডের জন্য বিখ্যাত। এই শহরের আইকনিক খাবার 'বড়া পাও', 'পাও ভাজি', 'ভেল পুরী'। জুহু বিচ এসবের আখড়া। মুম্বই তার সি-ফুডের জন্যও বিখ্যাত। বিশেষত 'বম্বে ডাক' ও 'প্রন কারি'।
খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে হায়দরাবাদ তো রাজকীয়। তার বিরিয়ানির জগৎজোড়া নাম! হায়দরাবাদি হালিমও এক আশ্চর্য জিনিস। আর হায়দরাবাদি কাবাব তো রসিকদের কাছে স্বর্গীয়।
মশলাচাট, পরাটা, বাটার চিকেন, কাবাব, গোলগাপ্পা, আলু টিক্কি-- নয়া দিল্লির কালিনারি ল্যান্ডস্কেপ সুবিস্তৃত। তবে যেহেতু কলকাতার ফুচকা বা বিরিয়ানিও কম যায় না, তাই এ নিয়ে কলকাতাবাসীর মনে একটু দুঃখ আছেই।
এই তালিকায় সব চেয়ে আশ্চর্য বাছাই চেন্নাই। চেন্নাইয়ের বিরিয়ানিও চোখ টেনেছে। তবে সম্বর-সহ দোসাই এখানকার বিশেষত্ব। চেন্নাইও সি-ফুডের জন্য বিখ্যাত। ফিশ কারি, মাছের স্টিউ, যার স্থানীয় নাম মীন কোঝাম্বু।
নবাবের শহর লখনউ। আওয়াধি রান্নাবান্নার আঁতুড়ঘর । লখনউ কাবাবের জন্য বিখ্যাত, বিশেষত গলৌটি কাবাব, টুন্ডে কাবাবি। লখনউ বিরিয়ানিও এক আশ্চর্য বস্তু। এখানকার নিহারি, কোর্মাও ভোলার নয়।
এ না হয় হল! কিন্তু কলকাতা? সিটি ফুড নিয়ে আলোচনার দরবারে কলকাতা ব্রাত্য হয় কী ভাবে? কলকাতার কী স্ট্রিট ফুড, কী তার খানদানি খাদ্যসম্ভার-- সে একটা সুবিশাল ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে নানা ভাবে তা ওতপ্রোত। টেস্ট অ্যাটলাসের এই তালিকা দেখে কলকাতাবাসী তাই বলে উঠছেন-- জিভ কাটো লজ্জায়!