রোগা থেকে মোটা, ছবির প্রয়োজনে এমন কঠিন কাজ করতে হয় এই Slim তারকাদের
বলিউড সিনেমা মানে সুন্দরী ছিপছিপে গড়নের নায়িকা, এমন ধারনা কিন্তু সবসময় সত্যি নয়, কখনও কখনও ছবির প্রয়োজনে মোটাও হতে হয়েছে তারকা অভিনেত্রীদের, আর যে কাজটা তাঁদের কাছে মোটেও সহজ ছিল না।
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে 'মিমি'। এই ছবির জন্য ওজন বাড়াতে হয়েছে কৃতি শ্যাননকে। ছবিতে 'সারোগেট মাদার'-র ভূমিকায় দেখা যাবে কৃতিকে। আর এই চরিত্রই তাঁর ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ, যে কারণে ১-২ কেজি নয় প্রায় ১৫ কেজি ওজন বাড়িয়েছেন অভিনেত্রী। যা ছিপছিপে গড়নের কৃতির জন্য বেশ কঠিনই ছিল।
তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার বায়োপিক 'থালাইভি'র জন্য সম্প্রতিককালে ওজন বাড়িয়ে ফেলেছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। চরিত্রের প্রয়োজনে ৬ কেজি ওজন বাড়াতে হয় কঙ্গনাকে। এক্ষেত্রে ওজন বাড়ানোর জন্য কঙ্গনাকে ডায়েটের পাশাপাশি হরমোনাল ওষুধও খেতে হয়েছিল বলে জানা যায়। পরে আবার 'ধাকড়'-এর শ্যুট শুরু হওয়ায় সেই ওজন দ্রুত কমিয়েও ফেলতে হয় অভিনেত্রীকে।
২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া 'দম লাগাকে হাইসা' ছবির প্রয়োজনে ৩০ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন ভূমি পেডনেকর। আয়ুষ্মান খুরানার বিপরীতে এটাই ছিল ভূমির প্রথম ছবি। যেটি দেখে দর্শকরা ভেবেছিলেন ভূমি বুঝি আদতেই মোটা। যদিও পড়ে এই ওজন কমিয়ে চমকে দেন অভিনেত্রী।
২০১১ সালে মুক্তি পাওয়া 'ডার্টি পিকচার' ছবির প্রয়োজনে ওজন বাড়িয়েছিলেন বিদ্যা বালান। ছবিতে বিজয়লক্ষ্মী ভদলাপতি ওরফে সিল্ক স্মিতার চরিত্রে অভিনয় করেন বিদ্যা। চরিত্রের প্রয়োজনে সেসময় ১২ কেজি ওজন বাড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী।
২০১৫ সালে 'সাইজ জিরো' ছবির জন্য ২০ কেজি ওজন বাড়িয়ে ফেলেছিলেন 'বাহুবলী' খ্যাত অভিনেত্রী অনুষ্কা শেট্টি। জানা যায়, অনুষ্কা এই ওজন বৃদ্ধি স্বাভাবিক নিয়ম ও ডায়েটের মাধ্যমে করেছিলেন। নির্মাতারা জানান, ছবির ফটোশ্যুটের সময় অনুষ্কার মনে হয়েছিল তাঁর দেহের তুলনায় হাত ও মুখ রোগা লাগছে, আর তারপরই চরিত্রের প্রয়োজনে মানানসই চেহারা গড়ে তুলতে অনুষ্কা ওজন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।