লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিনে তাঁর জীবনের ৬টি অজনা কাহিনী জেনে নিন
ভারতের দ্বিতীয় তথা জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী। 'জয় জওয়ান, জয় কিষান' স্লোগানের মধ্যে দিয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন তিনি। ১৯০২ সালে মুগলসরাইয়ে জন্মগ্রহণ করেম লালবাহাদুর শাস্ত্রী। আজ অর্থাত্ ২ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। কমবয়সে বাবাকে হারান ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। মহাত্মা গান্ধীর ডাকে মাত্র ১৬ বছর বয়সেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে।
জাতিপাতের বিরোধিতায় মাত্র ১২ বছর বয়সেই নিজের পদবী ত্যাগ করেছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। বারাণসীর কাশী বিদ্যাপীঠ থেকে স্নাতক পাশ করার পর তাঁকে 'শাস্ত্রী' উপাধি দেওয়া হয়।
আপনি কি জানেন গঙ্গায় সাঁতার কেটে স্কুলে যেতে লালবাহাদুর শাস্ত্রী? আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় নৌকোয় চেপে স্কুলে যেতে পারতেন না। সে কারণে গঙ্গায় সাঁতার কেটে প্রতিদিন স্কুলে যেতেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশে পুলিস মন্ত্রী থাকাকালীন প্রথমবার বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের বদলে জলকামান ব্যবহার করেছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী।
লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নেতৃত্বেই ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানকে যুদ্ধে হারিয়েছিল ভারত। সেনা যাতে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে, সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তখন শাস্ত্রী বলেছিলেন, ''ভারতীয় ভূখণ্ডে জোর করে পাকিস্তান ঢোকার চেষ্টা করলে, তাদের ভাবতে হবে। আগ্রাসনের মোকাবিলায় কঠিন জবাব দেওয়ার নির্দেশ সেনাকে দিয়েছি''।
প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ভারতরত্ন পেয়েছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী।
তাসখন্ডে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৯৬৬ সালে ১১ জানুয়ারি আকস্মিক মৃত্যু হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর। প্রথমে জানানো হয়েছিল, হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার কারণে মারা যান। তবে আজও তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যায়নি।