Lataguri: পুজোর মরসুমে লাটাগুড়িতে উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়
পুজোর মরসুমের মেজাজই আলাদা। ডুয়ার্সের প্রবেশদ্বার লাটাগুড়িতে এই সময়ে তাই উপচে পড়ছে পর্যটকদের ভিড়। মূর্তি, গরুমারা ও লাটাগুড়ির জঙ্গলে পর্যটকদের ভিড় যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে, এসে গেল বেড়াবার সময়। অতিরিক্ত পর্যটক ভিড় করায় গরুমার ও লাটাগুড়ির জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট পেতে সমস্যা হয়। টিকিট না পেয়ে বহু পর্যটক নিরাশ হয়ে ফিরে যান। তবে পর্যটকদের ভিড়ে খুশির হাওয়া ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ী মহলে।
দীর্ঘ কয়কমাস করোনার জেরে ডুয়ার্সের পর্যটকদের আগমন কম হওয়ায় বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের। প্রতি বছরই অবশ্য পুজোর সময়ে ডুয়ার্সে পর্যটকদের ঢল নামে। কিন্তু এ বছরের ছবিটি একেবারেই আলাদা। পুজোর ক'দিন ডুয়ার্স ছিল একেবারেই পর্যটকশূন্য। তবে পুজোর পর থেকে ডুয়ার্সে পর্যটক আসতে শুরু করেছে।
এখন পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হয়েছে। সেই আবহে ফের পর্যটকদের ভিড় ডুয়ার্সে। গরুমারায় জঙ্গল সাফারির জন্য পর্যটকদের লম্বা লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। সমস্ত পর্যটকদের জঙ্গলে প্রবেশ করতে দিতে পারেনি বন দফতর। ফলে অনেকেই জঙ্গলে প্রবেশের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন রবিবার।
কেন এমন হল? লাটাগুড়ি গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাঞ্চা ছেত্রী বলেন, এই জঙ্গলে গাইড পর্যাপ্ত থাকলেও সাফারির গাড়ির সংখ্যা সীমিত। আর লাটাগুড়ি রেঞ্জার শুভ্রশঙখ দত্ত বলেন, লাটাগুড়ি থেকে ১৪টি এবং চালসা থেকে ১৪টি গাড়িকে সাফারির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এর বেশি সম্ভব নয়। তাই একটি নির্দিষ্ট দিনে বা সময়ে পর্যটকসংখ্যা বেড়ে গেলে সমস্যা হয়। এদিনও সেই সমস্যার জেরে অনেকেই টিকিট পাননি। শুভ্রশঙখ জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গাড়ি বাড়াবার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিন যাঁরা জঙ্গল-সাফারি করতে পারেননি, তাঁরা মূর্তি নদীতে ভিড় করেছেন। এখানে একদিকে জঙ্গল, অন্যদিকে মূর্তি নদী। নদীতে নেমে আনন্দে মেতে ওঠেন জঙ্গল-ফেরত পর্যটকেরা।