লর্ডসের সম্মান থেকে বঞ্চিত সচিন-শেন-পন্টিং-লারা! কারণ জানেন?
লর্ডসের সম্মান থেকে বাদ রিকি পন্টিংয়ের মতো ক্রিকেট কিংবদন্তীও। এই মাঠে কোনও দিনই অর্ধশতরান করতে পারেননি অ্যাসেজ জয়ী অজি অধিনায়ক।
লর্ডস, বিশ্ব ক্রিকেটের মক্কা। গ্রেস সাহেব ক্রিকেট আবিষ্কারের পর থেকেই এই ময়দান কার্যত ক্রিকেটের তীর্থস্থান। এই ময়দানে পারফরম করতে পারা যে কোনও ক্রিকেটারের কাছেই বিরাট স্বপ্ন। এখানে শতরান পেলে বা ইনিংসে ৫ উইকেট অথবা এক টেস্টে ১০ উইকেট অর্জন করলে, সেই ক্রিকেটারকে সম্মানিত করে মার্লেবোর্ন বোর্ড। তাঁর নাম খোদাই করা থাকে লর্ডসের সম্মানীয় নেমপ্লেটে, যার পোশাকি নাম লর্ডস অনারস বোর্ড। ১৮৮৪ সালে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া, প্রথম টেস্ট থেকেই এই রীতির শুরু, যে পরম্পরা আজও বহমান।
টেস্টে সৌরভের অভিষেক শতরান থেকে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফি জয়ের পর ব্যালকনিতে জার্সির ঘুরপাক- সব দাদাগিরি-র সাক্ষী থেকেছে এই লর্ডস। খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর নামও আছে লর্ডসের অনারস বোর্ডে।
অপ্রত্যাশিত হলেও এই সম্মানে সম্মানিত হননি সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। লর্ডসের সম্মানীয় নেমপ্লেটে নাম নেই কিংবদন্তী অনিল কুম্বলেরও।
ভারতীয় ক্রিকেট কিংবদন্তীরা ছাড়াও এই সম্মান থেকে বঞ্চিত থেকেছেন আরও অনেক খ্যাতনামা নক্ষত্ররা। দেখে নিন, কোন কোন কিংবদন্তী-কে যোগ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করেছে লর্ডস।
পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপ (১৯৯২) জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। তাঁর সমসাময়িক কপিল দেব, স্যার ইয়ান বোথাম, স্যার রিচার্ড হেডলি, প্রত্যেকেই লর্ডসে একক দক্ষতায় লর্ডসে ম্যাচ জিতিয়েছেন। ক্রিকেটার মক্কায় তেমন কৃতিত্ব নেই ইমরানের।
ওয়াসিম আক্রাম। বিশ্ব ক্রিকেট তাঁর সুইংয়ে পরাস্ত হলেও লর্ডসে কখনই ৫ উইকেট পাননি আক্রাম। সব মিলিয়ে এই ময়দানে তাঁর রান ১৪৪ আর উইকেট ১২।
লর্ডসে খোদাই করা নেই বিশ্বের সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্য অন্যতম সেরা জ্যাক কালিসের নাম।
শেন ওয়ার্ন। এই অজি কিংবদন্তী লর্ডসে সর্বমোট ১৯ উইকেট অর্জন করেছেন। অথচ কোনও বারই ৫ উইকেট পাননি।
ব্রায়ান লারা। ক্রিকেট ইতিহাসে দু’বার ৩৫০, একবার ৪০০ করা এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী লর্ডসে কোনও দিন শতরান পাননি। এখানে তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ৫৪।
মুথাইয়া মুরলিধরন। টেস্ট ক্রিকেটের সর্বোচ্চ উইকেটের (৮০০) মালিক এখানে এক ইনিংসে ৩ উইকেটের বেশি উইকেট কখনই পাননি।