ধোনির আগে মাঠে মাথা ঠাণ্ডা রাখার `ওষুধ` খেয়ে নামতেন যাঁরা
ক্যাপ্টেন কুল। এই নামেই তাঁর ব্যপ্তি। বিপক্ষের স্লেজিং হোক বা টেনশন-এর মুহূর্ত। নির্লিপ্ত মুখ নিয়ে সব পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারেন। দেখে মনে হবে, জীবনের সব থেকে কঠিন দিনেও মহেন্দ্র সিং ধোনি 'কুল' থাকতে পারেন। যেন ক্রিকেট মাঠে মাথা ঠাণ্ডা রাখার ওষুধ খেয়ে নামেন এমএসডি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শান্ত থাকার মন্ত্র ছড়িয়েছেন ধোনি। কিন্তু তিনি ক্রিকেটে আসার আগে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ছিলেন এমন। যাঁদের দর্শন ছিল, পরিস্থিতি যাই হোক, মাথা ঠাণ্ডাই থাকবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক তাঁদের-
রাহুল দ্রাবিড়- ওল্ড স্কুল ক্রিকেটার। তাঁকে এখনও এই নামেই ডাকা হয়। টেস্ট ক্রিকেটে তিন নম্বরে ব্যাট করতে ঠিক যেমন মানসিকতার প্রয়োজন হয়, দ্রাবিড় তেমনই। ওপেনাররা দ্রুত আউট হলে সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারতেন। ক্রিকেট বিশারদরা বলেন, টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য পেতে হলে শান্ত অথচ খুনে হতে হবে। দ্রাবিড় তেমনই। অস্ট্রেলিয়া হোক বা ইংল্যান্ড, স্লেজিং করে 'দ্য ওয়াল' হেলিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তেমন কারও ছিল না।
মার্ক ওয়া- গতানুগতিক অজি ক্রিকেটারদের থেকে তাঁর মানসিকতা পুরো আলাদা। মাঠের বাইরে তাঁর মতো শান্ত মানুষ খুব কম রয়েছেন। এমনকী, মাঠেও তিনি সমান শান্ত, ধীর, স্থির। আগ্রাসনের নাম-গন্ধ ছিল না মার্কের মধ্যে। তবে ব্যাট হাতে খুনে হয়ে উঠতেন।
ড্যানিয়েল ভেত্তোরি- শান্ত অথচ ক্ষুধার্ত। ভেত্তোরিকে এভাবেই ব্যখ্যা করা যায়। বল হাতে উইকেট পেলে খুব একটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতেন না। শান্ত স্বভাব বজায় রাখতেন। আবার লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নামলে বিপক্ষের হাজার স্লেজিং তাঁর মনোযোগ নষ্ট করতে পারত না।
স্টিফেন ফ্লেমিং- ফিল্ড সেটিংস- এর প্রসঙ্গ উঠলে ধোনির সমকক্ষ ফ্লেমিং। দল হারার মুখে থাকলেও কখনও কেউ তাঁকে মাথা গরম করে প্রতিক্রিয়া জাহির করতে দেখেননি। প্রায় এক দশক ধরে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কত্ব করার পিছনে তাঁর এই গুণ প্রবলভাবে তাঁকে সাহায্য করেছে।
ভিভ রিচার্ডস- আগ্রাসন ছিল ভিভের ব্যাটিংয়ে, মুখে নয়। বোলারের স্লেজিংয়ের জবাব দিতেন কড়া শট খেলে। তবে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তির ব্যাটিং দক্ষতা নিয়ে বেশি কথা হয়। তাঁর শান্ত স্বভাবের প্রসঙ্গ আলোচিত নয় তেমনভাবে।
ব্রায়ান লারা- চাপ নিয়ে ব্যাট করতে পারেন। একটা সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে লারা এই জন্যই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। ২৫ রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়া দলকে টেনে নিয়ে যেতেন একাই। লারা নিজেই একবার এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, ''মাথাটাকে কাবু করতে পারতাম বলেই বড় ইনিংস খেলে যেতাম।''