LGBTQ: `সুচেতনা, এই পথে আলো জ্বেলে-- এ পথেই পৃথিবীর ক্রমমুক্তি হবে`?
ঋগ্বেদে যেমন 'বিকৃতি এবম প্রকৃতি' শব্দটি মেলে। যা থেকে স্বাভাবিক বা সংখ্যাগুরু গোষ্ঠীর যৌন-অভ্যাসকে 'প্রকৃতি'-অনুমোদিত বলে চিহ্নিত করে উল্টোদিকের মানুষগুলিকে 'বিকৃত' বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। সেটা আদি সময়।
তার অনেক পরে কামসূত্রে সমলিঙ্গের যৌনতার কথা বলা হয়েছিল। খাজুরাহোর মন্দিরগাত্রেও এই সমলিঙ্গ যৌনতার উল্লেখ থেকেছে।
তবে সারা পৃথিবীতে সমলিঙ্গের যৌনতার প্রসঙ্গে যাঁর কথা সকলের মুখে মুখে ফেরে, তিনি হলেন স্যাফো। গ্রিক কবি। লেসবস দ্বীপে জন্ম। জন্মকাল ৬৩০ থেকে ৬১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে। ৫৭০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ নাগাদ মারা যান। নারীর প্রতি নারীর প্রেম এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতীক তিনি। তাই তাঁর জন্মস্থান থেকেই লেসবিয়ান শব্দটিকে নিয়ে বিষয়টিকে চিহ্নিত করা হয়।
পাশ্চাত্যের বহু বিখ্যাতকেই পরে হোমোসেক্সুয়ালিটির বর্গভুক্ত করা হয়েছে। যেমন লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি। তিনি তাঁর শিল্পেও মেল সেক্সুয়ালিটিকে তুলে ধরেছিলেন।
আর এক ভয়ংকর বিখ্যাত মানুষও হোমোসেক্সুয়াল ছিলেন বলা হয়ে থাকে। তিনি উইলিয়াম শেক্সপিয়র। শেক্সপিয়র নাকি আসলে ছিলেন উভকামী। তিনি নারী পুরুষ উভয়ের সঙ্গেই যৌনতায় স্বাভাবিক ছিলেন। শেক্সপিয়রের যে-বিখ্যাত সনেটগুচ্ছ তার অধিকাংশ কবিতাই এক পুরুষকে উদ্দেশ্য করে রচিত!
রোম সম্রাট জুলিয়াস সিজারও ক্যুয়্যার রিলেশনশিপের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। রাজা চতুর্থ নিকোমিডিসের সঙ্গে সিজারের বিশেষ সম্পর্ক ছিল বলে ব্যাখ্যা করেন ইতিহাসবিদেরা।
ওস্কার ওয়াইল্ড গে ছিলেন। তিনি এক নারীকেই বিয়ে করেছিলেন এবং তাঁর সন্তানও হয়েছিল। কিন্তু তিনি পরের দিকে হোমোসেক্সুয়ালিটির অপরাধে অভিযুক্ত হন।