দৌড়াও,দৌড়াও,আরও দৌড়াও...
শিল্পী, রাজনীতিক, অভিভাবক, মুখ্যমন্ত্রী... নয় দশকের জীবনে এমনই নানা বর্ণময় পরিচয় রেখে গেলেন কালাইনার। জয়ললিতা, এমজিআর-এর মতোই তাঁর ছায়াতেও দিনযাপন করবে আগামী দিনের তামিল রাজনীতি।
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই রাজনীতির বীজ বুনেছিলেন তামিলনাড়ুর পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি। ওই বয়সেই একাধারে ছিলেন সমাজসংস্কারক, তেমনিই নিজস্ব রাজনৈতিক মতাদর্শেও বিশ্বাস করতেন তিনি। স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি সংগঠনও তৈরি করেন করুণানিধি। দ্রাবিঢ় আন্দোলনের তিনিই ছিলেন পথপদর্শক।
৮০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কখনও নির্বাচনে পরাজিত হননি করুণানিধি। তাঁর প্রকৃত নাম দক্ষিণামূর্তি।
সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে তাঁর কেরিয়ার শুরু। তামিল সিনেমার ‘মহানায়ক’ শিবাজী গণেশানের হাতেখড়ি হয় করুণানিধির হাত ধরেই। ‘পরাশক্তি’ সিনেমার চিত্রনাট্য লিখে খ্যাতি অর্জন করেন করুণানিধি। এই সিনেমার ‘ওদিয়েন ওদিয়েন’ অর্থাত ‘দৌড়াও দৌড়াও…’ নামে একটি সংলাপ বেশ জনপ্রিয় হয়।
‘পরাশক্তি’-তে হিন্দু রীতিনীতির সংক্রান্ত কয়েকটি দৃশ্য ‘খারাপভাবে’ দেখানোয় বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সে সময় ওই সিনেমা রাজ্য সরকার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধন্ত নিয়েছিল।
তামিলনাড়ু বিধানসভায় করণানিধি মোট ১২ বার বিধায়ক হয়েছেন যা নজিরবিহীন।
১৯৯৭ সালে মণিরত্নমের তৈরি ‘ইরুভর’ সিনেমায় করুণানিধির চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই, টাব্বু।
হলিউড পরিচালক এলিস ডানগানের শেষ সিনেমা মন্থিরি কুমারি-র চিত্রনাট্য লিখেছিলেন করুণানিধি।