ভারতীয় ভিসার শর্ত ভেঙে মদনের সঙ্গে রাম নাম, কাঠগড়ায় আরও এক বাংলাদেশি অভিনেতা
নিজস্ব প্রতিবেদন: রায়গঞ্জে তৃণমূলের প্রচারে বাংলাদেশের নাগরিক ফিরদৌসকে নিয়ে হুলস্থূল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলের। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের হয়ে আর এক বাংলাদেশি নাগরিকের প্রচার।
তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে গাজি আবদুন নুরকে। 'রাণী রাসমণি' ধারাবাহিকে রাজা রাজ চন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয় মুখ নুর। ধারাবাহিকে তাঁর চরিত্রটির মৃত্যু হয়েছে কয়েকদিন আগেই।
রাম নবমীতে খোলকরতাল নিয়ে বেড়িয়েছিলেন মদন মিত্র। ভবানীপুর এলাকায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের মিছিলে। ওই মিছিলেই অংশ নিয়েছিলেন নূর।
শুধু তাই নয়, দমদমে সৌগত রায়ের প্রচারেও দেখা গিয়েছে নূরকে। একটি হুডখোলা গাড়িতে নূরকে সঙ্গে নিয়ে ভোট চেয়েছেন মদন মিত্র।
বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রচার নিয়ে ইতিমধ্যেই হয়েছে জলঘোলা। ফিরদৌসের প্রচার নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ করেছে বিজেপি।
তৃণমূল নেতা মদন মিত্র সোমবারই সাফাই দেন,''১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে সময় আমরা সাহায্য করেছিলাম। ফিরদৌসকে প্রচারে এনে আমরা ভুল কিছু করিনি। দেশবিরোধী, বেআইনি ও আদর্শআচরণবিধি লঙ্ঘন করে কিছু করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। কমিশন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বিজেপিকে ছাড়া চলবে না। রাম নবমী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছেন বিজেপি প্রার্থীরা''।
জানা গিয়েছে, শ্যুটিং করার জন্য ভিসা পেয়েছিলেন ফিরদৌস ও আবদুন নূর। ভারতের কাজের অনুমোদনপত্র পেয়ে কীভাবে রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচারে নামতে পারেন তাঁরা, উঠেছে সেই প্রশ্ন। বিষয়টি দেখছে বিদেশি আঞ্চলিক পঞ্জিকরণ দফতর(এফআরআরও)। সংশ্লিষ্ট জেলা সুপারদেরও জবাবদিহি করতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
ফিরদৌসের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ফিরদৌসকে ডেকে পাঠানো হয় কলকাতায় স্থিত বাংলাদেশের উপদূতাবাসে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে যেতে হবে অভিনেতাকে। নির্বাচন মেটার পর ভারতে আসতে পারবেন তিনি।
ভারতের নির্বাচনে বিদেশি নাগরিকের প্রচার নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। ঘটনায় এনআইএ তদন্ত দাবি করেছে তারা। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কথায়,''তৃণমূল দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। অন্য দেশ থেকে শিল্পী ভাড়া করে আনতে হচ্ছে''। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, এবার ইমরান খানকে প্রচারে ডাকবেন তৃণমূল নেত্রী।
বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কথায়, ''তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে দিচ্ছে। এবার বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। ভারতের নিরাপত্তার পক্ষে এটা অশনিসংকেত''।