`নব্বই শতাংশ হলেই থেমে যাস`, কাকে এমন নির্দেশ দিলেন অনুব্রত?

Mon, 29 Apr 2019-5:05 pm,

কমলিকা সেনগুপ্ত : কমিশনের নির্দেশে ৪৮ ঘণ্টার জন্য নজরবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু সেসব তুচ্ছ করেই চলছে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়ার পালা।

সকালে ফোন করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিয়পাত্র 'কেষ্ট'কে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে বলেছিলেন তিনি। পার্টি অফিসে বসেই এদিন সকাল থেকে চারদিকে ফোন করে শুধু একটাই কথা বলে চলেছেন অনুব্রত মণ্ডল।

জনে জনে ফোন করে জিজ্ঞাসা করছেন, 'কাজ চলছে তো?' তারপরই নির্দেশ, 'তাড়াতাড়ি হাত চালা।' দলের ছেলেদের মারফত যেই খবর পাচ্ছেন, কোনও বুথে অবজার্ভার যাচ্ছেন, সঙ্গে সঙ্গে আবার প্রয়োজনীয় সতর্কবার্তা, "ফোন পুড়ছে। কাজ বন্ধ রাখ।"

দুবরাজপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানোর ঘটনায় তাঁর সাফ দাবি, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে ভোট করছিল। প্রতিবাদ করাতেই গুলি চালায়।' পরক্ষণেই পাল্টা হুমকি দেন অনুব্রত। বলেন, "আমার কাছেও গুলি আছে অনেক।"

কমিশন তাঁকে যতই নজরবন্দি করুক, সেসব যে তিনি মোটও পাত্তা দিচ্ছেন না, তা নিজেই বলছেন অনুব্রত মণ্ডল। বলেন, "আমার একটাই কথা মিটিং-মিছিলে লোক আনতে হবে। ভোট করাতে হবে। যা চাইবে তাই পাবে। নইলে বাংলা ছাড়া।"

অনুব্রত হুঁশিয়ারিতেই স্পষ্ট সারাদিন ঠিক কীভাবে ভোট 'করিয়েছেন' তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কোনও রাখঢাক না করে সাংবাদিকের সামনেই ফোন করেন দলের ছেলেদের।

কতটা ভোট করাতে হবে সেই নির্দেশ দেন অনুব্রত। পাশাপাশি সাবধানবাণীও শোনা যায় তাঁর গলায়। ফোনে অনুব্রতকে বলতে শোনা যায়, "৯০-এর বেশি যেন কোনও বুথে না হয়। তার বেশি যাস না বাবা। নব্বই হলে স্টপ করে দিস।"

এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে আজ আবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। গোটা বীরভূমে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। "অনুব্রত গনতন্ত্রের শত্রু। জেলের কুঠিরিতে থাকা উচিত," তোপ দাগেন জয়প্রকাশ মজুমদার।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link