জামাতের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন রাহুল, বিজেপি নয়, একথা বলছে সিপিএম
নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার কেরলের বয়নাড় কেন্দ্রে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন রাহুল গান্ধী। এনিয়ে ইতিমধ্যেই রাহুলকে নিশানা করেছে সিপিএম-বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী তো সরাসরি তোপ দেগে বলেছেন, হিন্দুদের সংখ্যা কম থাকার জন্য ওয়াইনাড কেন্দ্রটি বেছে নিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
এবার সিপিএমের অভিযোগ, 'সাম্প্রদায়িক বিজেপি'কে হারানোর ধুঁয়ো তুলে মুসলিম মৌলবাদীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
উত্তরপ্রদেশের অমেঠির সঙ্গে ওয়াইনাড কেন্দ্রেও এবার প্রার্থী হয়েছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের বক্তব্য, ঐক্যবদ্ধ ভারতের লক্ষ্যে উত্তর ও দক্ষিণকে জুড়তে চাইছেন রাহুল গান্ধী।
বিজেপি অবশ্য প্রথম থেকে দাবি করে আসছে, ২০১৪ সালে অমেঠিতে হারতে হারতে কোনওক্রমে রক্ষা পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। এবার হারার আশঙ্কাতেই দক্ষিণ দৌঁড়লেন যুবরাজ। অমেঠিতে রাহুলের প্রতিদ্বন্দ্বী স্মৃতি ইরানি কটাক্ষ করেছেন, 'ভাগ রাহুল ভাগ'।
নরেন্দ্র মোদী আবার রাহুলের এহেন সিদ্ধান্তকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, হিন্দুদের সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছিল কংগ্রেস। দেশের হিন্দুরা রেগে রয়েছেন। সে জন্য হিন্দুদের সংখ্যাধিক্য কেন্দ্রে দাঁড়াতে ভয় পাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। ওয়াইনাডে হিন্দু ভোটারের সংখ্যা কম বলেই সেখানে প্রার্থী হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি।
রাহুলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন কেরলে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক কোডিয়ারি বালাকৃষ্ণণ। তাঁর কথায়, ''ওয়াইনাডে কংগ্রেসের চেয়ে ইউডিএফের সঙ্গী মুসলিম লিগের প্রাধান্য বেশি। পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার রাজনৈতিক সংগঠন সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়া ও জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে সমঝোতা করেছে মুসলিম লিগ। ফলে কংগ্রেস, জামাত, আইইউএমএল ও এসডিপিআই-র প্রার্থী রাহুল গান্ধী''।
রাজনৈতিকভাবে কংগ্রেস দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন বালাকৃষ্ণণ। তাঁর বক্তব্য, সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে হারাতে সাম্প্রদায়িক মুসলিমদের সঙ্গে হাত মেলানো কোনও সমাধান হতে পারে না।
বিজেপির সুরেই সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্যের কটাক্ষ, ''মনে হচ্ছে, উত্তর ভারতে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করার মতো শক্তি আর নেই কংগ্রেসের। অমেঠি হারার ভয়ে ওয়াইনাডে প্রার্থী হলেন রাহুল গান্ধী''।
বলে রাখি, পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এনআইএ তদন্তেও তা উঠে এসেছে। সেই সংগঠনের রাজনৈতিক দল এসডিপিআই।