মুকুলের হাতযশ! বিজেপি যেন তৃণমূলের বি টিম, দলবদলুদেরই টিকিট
রাজ্যে প্রথম দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। আর প্রথম দফার প্রার্থীতালিকায় ২৮টি নামের মধ্যে দলবদলুদের ছড়াছড়ি। সদ্য অন্য দল থেকে আসা নেতারা পেয়ে গিয়েছেন টিকিট। আর এনিয়ে মধ্যে দলের অন্দরে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। হতাশ কর্মীদের প্রশ্ন, তাহলে সম্বত্সর যাঁরা কাজ করলেন, তাঁদের কোনও দাম নেই। দুদিন আগেও যাঁরা অন্য দলে থেকে বিজেপি কর্মীদের উপরে নির্যাতন করেছেন তাঁরা পেয়ে গেলেন টিকিট। দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন, তাহলে কি এবার বিজেপির টিকিট পেতে গেলে আগে তৃণমূল করতে হবে?
বারাকপুরে দীনেশ ত্রিবেদীকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্র থেকে লড়তে চেয়েছিলেন ভাটপাড়ার অর্জুন সিং। তাঁকে ডেকে ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেছিলেন খোদ দলেনেত্রী। এরপর দিল্লিতে উড়ে যান অর্জুন সিং। তাঁকে বারাকপুরের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। অর্থাত্ দলে এসে একমাসও হয়নি, পেয়ে গেলেন লোকসভার টিকিট।
সাংসদ অনুপম হাজরাকে বোলপুরে পাওয়া যেত না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এবার আর বোলপুরে দাঁড়াননি তিনি। অনুপমকে প্রার্থী করা হয়েছে যাদবপুরে। বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন, বোলপুরের সাংসদকে যাদবপুরে কেন প্রার্থী করা হল? তাহলে কি ওই কেন্দ্রে জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত নন অনুপম হাজরা। যিনি নিজের কেন্দ্রেই জেতা নিয়ে সন্দিহান, তাঁকে নিয়ে কতটা লাভবান হবে বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন।
দলেরই নেতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বিজেপিতে যোগ দেন সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূলের আগে ছিলেন কংগ্রেসে। অর্থাত্ তিনটি দলে ঘুরে ফেললেন সৌমিত্র। বিষ্ণুপুরের টিকিট দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
সিপিএম ছেড়ে দু'দিন আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া খগেন মূর্মূও পেয়ে গিয়েছে টিকিট। উত্তর মালদহ আসনের প্রার্থী তিনি।
ঘাটালের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন পুলিস সুপার ভারতী ঘোষ। এই ভারতীর বিরুদ্ধেই দলীয় কর্মীদের উপরে নির্যাতনের অভিযোগ করতেন বিজেপি নেতারা। তিনিই গেরুয়া শিবিরের ঘাটালের প্রার্থী। স্থানীয় নেতাদের মধ্যেই গুঞ্জন, কীভাবে সাধারণ কর্মীরা মেনে নেবেন ভারতীকে!
কোচবিহারের প্রার্থী হয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত এই নেতাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বেঁধে গিয়েছে বিবাদ।
বারাসতের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন মৃণালকান্তি দেবনাথ। কিন্তু তৃণমূলের এক বিধায়ককে ওই কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা।