টুপি পরে রাস্তায় বেরোতে ভয় পাচ্ছেন মুসলিমরা, সংখ্যালঘু এলাকায় বললেন ফিরহাদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে গিয়ে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে।
কৃষ্ণনগরে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় ফিরহাদ হাকিম বলেন,''এবারের ভোট ইয়ারকি মারার ভোট নয়। আনন্দ করার ভোট নয়। আজকের ভোট মোদী রামের ভোট। কালকে মাথা তুলে থাকতে পারব কিনা, তার ভোট। আমাদের টুপি পরে নামাজ পড়তে দেবে না। ইউপিতে (উত্তরপ্রদেশ) ছেলে নমাজ পরতে গেলে টুপিটা পকেটে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মা। বজরং দল দেখলে মেরে দেবে। মসজিদে গিয়ে টুপি পরবি''।
ফিরহাদ আরও বলেন,''ইউপি-তে টুপি পরে যাওয়া মানা। বজরং দল দেখে নিলে পিটিয়ে মেরে দেবে। দাঁড়ি কেটে ফেলছে মুসলিমরা। উপরওয়ালা ছাড়া কারও কাছে মাথানত করব না''।
অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ টেনে কলকাতার মেয়র মন্তব্য করেন,''ইউপিতে মানুষ বলছে, গরুর চেয়ে মানুষের দাম কম। লিখে নিন, সাধারণ মানুষকে গরু খাওয়ার জন্য মেরে দিয়েছে বজরং দল''।
গোমাংস রফতানিকারীদের বিজেপির যোগের অভিযোগ করেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, বিফের এক্সপোর্টার কে সঙ্গীত সিং, বিজেপির বিধায়ক। আর এক এক্সপোর্টার শ্রীকান্ত শর্মা পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সহ-সভাপতি। গরুর মাংস এক্সপোর্ট করছ অসুবিধা নেই। কিন্তু মানুষ খেলে দোষ। কেন গরুর মাংস ব্যান হল?
গোমাংস নিষিদ্ধ করে বিজেপি ব্যবসায়ীদের সুবিধা করে দিয়েছে বলে দাবি করেন ফিরহাদ। তাঁর যুক্তি, গরুর মাংস না খেলে দাম কমে যাবে। বিফ এক্সপোর্টারদের কাছে সস্তায় চলে যাবে। আজম খান বলেছে, বিফ এক্সপোর্টারদের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা পেয়েছে বিজেপি।
ফিরহাদের হাকিমের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর কথাও জানিয়েছে তারা। এর আগে উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের একজোট হয়ে মহাজোটকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন মায়াবতী। তার পাল্টা আবার যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করেছিলেন, আলিকে চাই না, বিজেপির সঙ্গে রয়েছে বজরংবলি।