যত দোষ বিজেপির, ফিরদৌসকে ভারত ছাড়ার নির্দেশের পর বললেন ফিরহাদ
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় ভিসা লঙ্ঘন করে বাংলাদেশি নাগরিক ফিরদৌস আহমেদকে দেশত্যাগের নোটিস ধরিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ব্যবসায়িক ভিসায় রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করেছিলেন অভিনেতা। ফিরদৌস-কাণ্ডে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম।
ফিরহাদ হাকিম বলেন,''অকারণে জলঘোলা করছে বিজেপি। কে কার হয়ে প্রচার করল, তা নিয়ে কারও কিছু যায় না। কিন্তু বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। তাই তারা জলঘোলা করছে''।
ভারতে কাজের অনুমোদনপত্র পেয়েছিলেন ফিরদৌস। কিন্তু রায়গঞ্জে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে দেখা যায় তাঁকে। ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করায় তাঁকে দেশত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
অভিবাসন দফতর রিপোর্টে জানায়, ভারতে কাজের জন্য ভিসা দেওয়া হয়েছিল ফিরদৌসকে। কিন্তু সেই শর্ত লঙ্ঘন করেছেন অভিনেতা। অভিবাসন দফতরের রিপোর্টের ভিত্তিতে ফিরদৌসের ব্যবসায়িক ভিসা বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক । তাঁকে অবিলম্বে ভারত ত্যাগের নোটিস দেওয়া হয়েছে। এমনকি কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে ফিরদৌসকে।
শুধু ফিরদৌস নন, মদন মিত্রের সঙ্গে সৌগত রায়ের সমর্থনে প্রচারে নেমেছিলেন 'রাণী রাসমণি'র রাজা রাজ চন্দ্রের অভিনেতা গাজি আবদুন নুর। জানা গিয়েছে, এদেশে কাজের অনুমোদনপত্র ছিল দুই বাংলাদেশি অভিনেতার। সেই হিসেবেই ভিসা পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক প্রচারে সামিল হন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই এব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। ভারতের অবস্থান জানার পর ফিরদৌসকে ডেকে পাঠায় কলকাতায় ভারতীয় উপদূতাবাস। তাঁকে দেশে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফিরদৌসের প্রচারে জামাত-তৃণমূল যোগের অভিযোগ করে এনআইএ তদন্ত চেয়েছেন উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, ''অন্য দেশের নাগরিক কাভীবে দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে? এটা আসলে তৃণমূলের সঙ্গে জামাত-ই-ইসলামির যোগের প্রচার করা হয়েছে''।