`আমিও অভিমানী হতে পারি`, বেলপাহাড়িতে দাঁড়িয়ে দুঃখপ্রকাশ মমতার
ঢালাও উন্নয়ন। দফায় দফায় সফর। তারপরও পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে ধাক্কা খেতে হয়েছে তৃণমূলকে। আর সেটাই সবচেয়ে দুঃখ দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এদিন বেলপাহাড়ির সভা থেকে একরাশ অভিমান উগরে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর আবেদন, স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ থাকতেই পারে, কিন্তু অন্য দলকে ভোট দিয়ে দুঃখ দেবেন না।
জঙ্গলমহল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরাবরের পাখির চোখ। ক্ষমতায় আসার আগে এবং মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সবচেয়ে বেশিবার ছুটে গিয়েছেন এই এলাকায়। রাস্তাঘাট-পানীয় জল থেকে স্বাস্থ্য-কর্মসংস্থান, তৃণমূল জমানায় জঙ্গলমহলের ভোল বদলেছে আমূল।
কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটে বেলপাহাড়িতে তার ডিভিডেন্ট ঘরে তুলতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে ঘিরে। সেই ক্ষতেই এদিন প্রলেপ দেওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী।
এদিন সভায় তৃণমূল নেত্রী আশ্বাস দেন, 'সবাই খারাপ নয়।' তাই তাঁর উপর ভরসা রাখতে বলেন। বলেন, "আমি যতবার এসেছি, স্থানীয় বিধায়কও ততবার আসেননি। আমাকে দুঃখ দেবেন না। আমিও অভিমানী হতে পারি।"
পাশাপাশি বাকি নির্বাচনী সভার মতোই এখানে নিশানা করেছেন মোদীকে। প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, পঞ্চায়েত জিতে কী কাজ করেছে বিজেপি? ৫ বছরে একবারও ঝাড়গ্রামে আসেননি মোদী। সেই প্রসঙ্গে তুলেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
তাঁর দাবি, ভুল বুঝিয়ে আদিবাসী ভোট টানতে চায় বিজেপি। তাই জঙ্গলমহলবাসীর কাছে তৃণমূল নেত্রীর আবেদন, সেই ফাঁদে যেন পা না দেন জঙ্গলমহলের মানুষ।