জামাত-তৃণমূলের যোগ স্পষ্ট দাবি করে ফিরদৌসের প্রচারে তদন্ত এনআইএ চাইল বিজেপি
অঞ্জন রায়: জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগে ফিরদৌসকে প্রচারে নামানো হয়েছে অভিযোগ করলেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা।
উত্তর কলকাতা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বলেন, ''অন্য দেশের নাগরিক কাভীবে দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে? এটা আসলে তৃণমূলের সঙ্গে জামাত-ই-ইসলামির যোগের প্রচার করা হয়েছে''।
এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন রাহুলবাবু। তাঁর কথায়,''কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন বিদেশ মন্ত্রকের মতামত চেয়েছে। আশাকরি করি বিজেপির দাবি মেনে এই ঘটনার তদন্ত হবে''। অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার সঞ্জয় বসুর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও করেছেন বিজেপির জাতীয় সম্পাদক।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে প্রচারে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশি অভিনেতা ফিরদৌসকে। আবার কলকাতায় মদন মিত্রের সঙ্গে রাম নবমীর মিছিলে ছিলেন 'রাণী রাসমণি' খ্যাত গাজি আবদুন নুরকে। দমদমে সৌগত রায়ের হয়ে প্রচার করেন এই বাংলাদেশি নাগরিক।
বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রচারে নামানোয় ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে নালিশ করেছে বিজেপি। এনিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ভারতের নির্বাচনে বিদেশি নাগরিকদের প্রচার নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিদেশমন্ত্রক। বিষয়টি দেখছে বিদেশি আঞ্চলিক পঞ্জিকরণ দফতর(এফআরআরও)। জেলা সুপারদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হতে পারে বলে খবর।
ফিরদৌসের কাছে কৈফিয়ত চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ফিরদৌসকে ডেকে পাঠানো হয় কলকাতায় স্থিত বাংলাদেশের উপদূতাবাসে। দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদেশে কাজের অনুমোদনপত্র ছিল দুই বাংলাদেশি অভিনেতার। সেই হিসেবেই ভিসা পেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক প্রচারে সামিল হন তাঁরা।