বছরভর কাজের লোকেরা টিকিট পাবে না? কৈলাসের সামনেই প্রশ্ন
অঞ্জন রায়: বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে একের পর এক নেতাকে দলে ভিড়িয়েছে বিজেপি। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, বোলপুরের অনুপম হাজরা যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। শোনা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুর ও বোলপুরে তাঁদের প্রার্থী করা হতে পারে। বারাকপুরের প্রার্থী হতে পারেন অর্জুন সিং। দক্ষিণ প্রার্থী মালদহ করা হতে পারে খগেন মূর্মূকে। আর এমন জল্পনায় হতাশ বিজেপির রাজ্য নেতাদের একাংশ।
রাজ্যের সাধারণ সম্পাদকরা প্রার্থী হতে পারবেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। জানা গিয়েছে, নির্বাচন পরিচালনার ভার দেওয়া হয়েছে সাধারণ সম্পাদকদের। আর সে কারণেই তাঁরা টিকিট পাবেন না।
সূত্রের খবর, এমন ইঙ্গিত পাওয়ার পর বিজেপির সাধারণ সম্পাদকরা স্বাভাবিকভাবেই গোঁসাঘরে। প্রশ্ন উঠেছে, সারা বছর যাঁরা কাজ করে, তাঁরা টিকিট কেন পাবে না?
বিজেপি রাজ্যের শীর্ষ নেতারা অবশ্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাঁর জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁকেই প্রার্থী করা হবে। এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দিল্লি। এদিনই দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, গত বিধানসভায় ২৯৪টি আসনে টিকিট দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটেও অনেকেই টিকিট পেয়েছেন। জেতার সম্ভাবনা যাঁর বেশি, তাঁকেই প্রার্থী করবে বিজেপি।
দিল্লিতে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ স্পষ্ট করেছিলেন, নীতি-আদর্শ ওসব পরে ভাবা হবে। জেতার সম্ভাবনা যাঁর বেশি তাঁকে প্রার্থী করা হবে।