ব্রিগেডের জনসমাগম দেখে উল্লসিত বিজেপির প্রত্যাশাপূরণ, দেখে নিন ভিড়ের ছবি
অঞ্জন রায়: তৃণমূল, বামেদের পর বিজেপির ব্রিগেড কেমন হয়, তা নিয়ে উত্সাহের অন্ত ছিল না। নিন্দুকরা বলছেন, আগের দুটি ব্রিগেডকে টেক্কা দিতে পারেনি বিজেপি। রাজ্য বিজেপির নেতাদের দাবি, মাত্র ১০দিনের নোটিসে ব্রিগেডে যা লোক হয়েছে, তা প্রত্যাশাপূরণ করেছে নেতৃত্বের।
চৈত্রের রোদ থেকে সমর্থকদের বাঁচাতে ব্রিগেডে ছাউনি দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য বিজেপি। সেই মতো জার্মান হ্যাঙার বসানো হয় ব্রিগেডের মাঠে। ব্রিগেডের ইতিহাসে এটাই প্রথম। এর আগে খোলা ব্রিগেড দেখে এসেছে পশ্চিমবঙ্গ।
বিরোধীদের দাবি, ছাউনি দিয়ে ব্রিগেডের আকার অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর পাতলা ভিড় দেখে যাতে মুখ না পোড়ে, সে কারণে ছাউনি দিয়েছিল বিজেপি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দিনহাটার সভা থেকে জার্মান হ্যাঙারের ব্যবহার নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, মাত্র ১০ দিনের ব্যবহারে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে দুটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তেমন জোরালোভাবে প্রচারও করা যায়নি। প্রস্তুতির সুযোগও মেলেনি। তা সত্ত্বেও শুধুমাত্র দক্ষিণবঙ্গের সমর্থকদের দিয়ে কাজের দিনে ব্রিগেড ভরানো গিয়েছে।
বলে রাখি, শিলিগুড়িতে মোদীর সভায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর সেই ভিড় দেখে নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, এটা দেখার পর মমতার রাতের ঘুম উড়ে যাবে।
বিজেপি সূত্রের খবর, তৃণমূল বা বামেদের ব্রিগেডকে টেক্কা দেওয়া যাবে না তা শুরু থেকেই জানতেন নেতৃত্ব। একে তো কাজের দিনে ব্রিগেড, তার উপর হাতে সময় ছিল কম। আবার একইদিনে দুই প্রান্তে দুটি সভা।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কটাক্ষ, তিনটি বিগ্রেডের মধ্যে মোদির বিগ্রেড ফ্লপ শো। বামদের পিপলস ব্রিগেডের ধারকাছেও নেই।