kalipuja 2023: রঘু ডাকাতের আরাধ্য মা কালী আজও পূজিতা রহস্যময় অট্টহাসে...
কথিত আছে, প্রায় দুশো বছর আগে রঘু ডাকাত নদিয়া থেকে ব্রিটিশ পুলিসের তাড়া খেয়ে কেতুগ্রামের অট্টহাসের জঙ্গলে ডেরা বেঁধেছিল।
বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানে অবাধে লুটপাট চালাত রঘু। এমনকী স্থানীয় ইতিহাস থেকে জানা যায়, চিঠি দিয়ে ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে রঘু ডাকাত অট্টহাস জঙ্গলে মা কালীর পুজো করে রওনা দিত। ব্রিটিশ শাসনকালে রঘু তার দলবল নিয়ে ঈশানী নদীর তীরে এই জঙ্গলে বছরসাতেক আস্তানা করে ছিল।
অট্টহাস মূলত সতীপীঠ, এখানে দেবীর অধরোষ্ঠ পড়েছিল। এই সতীপীঠে দেবীর পাষাণমূর্তির উপর মহিষমর্দিনীর প্রস্তরমূর্তি রেখে নিত্য সেবা করা হয়।
সতীপীঠ সূত্রে জানা যায়, সাধক বামাক্ষ্যাপা,মোক্ষদা, গিরীশ ঘোষ এই সতীপীঠে থাকা পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে তন্ত্র সাধনা করেছেন।
অট্টহাসের প্রায় সাতাশ একর ঘনজঙ্গলে মধ্যেই থাকা কালীর প্রস্তরমূর্তিকে ঘিরে আজও ভক্তেরা মহা সমারোহে কালীর আরাধনা করেন। অট্টহাসের কালীপুজোয় স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসনে সকলেই অংশ গ্রহণ করেন।
জনশ্রুতি, এক সময় অট্টহাসের মা কালীকে তুষ্ট করতে রঘু ডাকাত নরবলি দিত। যদিও পরে মা কালীর আদেশেই তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয় বলে কথিত আছে। বর্তমান মন্দির কর্তৃপক্ষ পশুবলি বন্ধেরও নির্দেশ জারি করেছেন। তবে মন্দিরে হাঁড়িকাঠ আজও আছে।
রঘু ডাকাত আজ আর নেই, কিন্তু অট্টহাসের রঘুর সেই আরাধ্য দেবী মা কালীর পুজোর জৌলুস আজ এতটুকু কমেনি।