মাত্র ছত্রিশেই মাতিয়েছিলেন বিশ্বকে, তুলনা করা হত মেরিলিন মনরোর সঙ্গে...
তাঁর অভিনীত সব ছবিই ক্লাসিকের পর্যায়ে পড়ে। 'মহল', 'চলতি কা নাম গাড়ি', 'মুঘল-ই-আজম' 'কালাপানি', 'হাওড়া ব্রিজ' সেই মণিরত্নেরই কয়েকটি মাত্র!
দিল্লিতে জন্ম। প্রকৃত নাম ছিল বেগম মুমতাজ জেহান দেহলাভি। অত্যন্ত দরিদ্র ছিল তাঁর পরিবার। মাত্র ৯ বছর বয়সে প্রথম ফিল্মে কাজ, শিশুশিল্পী হিসেবে। মুমতাজ নামে কাজ করেছিলেন বসন্ত নামের এক ছবিতে।
চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে যখন কাজ করছেন তখনই আর এক শিশুশিল্পীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়, যিনি তাঁরই মতো পরবর্তী সময়ে মহান অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন-- তিনি ছিলেন মীনাকুমারী।
দুরন্ত প্রেম ছিল দিলীপ কুমারের সঙ্গে, এদিকে কিশোরকুমারও তাঁর দিকে হাত বাড়িয়ে বসে ছিলেন। মধুবালার বাবা দিলীপের সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে মত দিলেন না। কিশোরকেই বরমাল্য দিলেন বলিউডের সেই মুহূর্তের সব চেয়ে সুন্দরী, সব চেয়ে গ্ল্যামারাস, সব চেয়ে আবেদনময়ী নায়িকা মধুবালা।
শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করতে-করতেই তিনি দেবিকা রানির চোখে পড়ে যান। দেবিকা রানিই 'মুমতাজ' থেকে তাঁর নাম বদলে দেন 'মধুবালা'য়! 'মহল' ছবিতেই মধুবালার বিগ ব্রেক! তারপর দেখতে গেলে প্রায় বলিউডের সম্রাজ্ঞীর আসনে উত্তীর্ণ হন তিনি। 'মুঘল-ই-আজম' ছবিতে আনারকলি চরিত্রে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য ১৯৬১ সালে পেয়েছিলেন ফিল্মফেয়ার বেস্ট অ্যাকট্রেস অ্যাওয়ার্ড।
মাত্র ২৭ বছর বয়সে ধরা পড়েছিল ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট রোগটি। লন্ডনের ডাক্তার তাঁকে বলেই দিয়েছিলেন আয়ু আর মাত্র ২ বছর। যদিও ডাক্তারের ভবিষ্যদ্বাণীকে ভুল প্রমাণ করে তিনি বেঁচেছিলেন আরও কয়েকটি বছর। মারা গেলেন ২৯-য়ে নয়, ৩৬ বছর বয়সে।