এয়ার স্ট্রাইকের পরও বালাকোটে অক্ষত জইশের মাদ্রাসা, দাবি উপগ্রহ চিত্রে

Wed, 06 Mar 2019-9:49 pm,

বালাকোটে জইশের জঙ্গিঘাঁটিতে কি সফলভাবে বোমা নিক্ষেপ করেছিল বায়ুসেনা? নাকি জঙ্গলেই বোমা ফেলে চলে এসেছিল মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান। এমন প্রশ্নই তুলে দিয়েছে বিদেশি সংবাদমাধ্যম। এরসঙ্গে বিরোধীরা দাবি করেছে, সরকার প্রমাণ দেখাক। 

বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইকের পর মুখ বাঁচাতে পাকিস্তান দাবি করেছিল, ওখানে জঙ্গি শিবির ছিল না। পাক যুদ্ধবিমান এফ ১৬-এর তাড়া খেয়ে জঙ্গলেই বোমা ফেলে পালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেও দাবি করা হয়, জঙ্গলে বোমা ফেলেছে ভারত। একজন আহত হয়েছেন। স্থানীয়দের বয়ানও তুলে ধরা হয়। 

ভারতীয় বায়ুসেনা অবশ্য স্পষ্ট জানায়, অভিযান সফল। সূত্রের খবর, সরকারের কাছে উপগ্রহ চিত্র তুলে দিয়েছে বায়ুসেনা। দাবি করা হয়েছে, বোমা লক্ষ্যে আঘাত হানতে ৮০ শতাংশ সফল। বাকিটা নির্ভর করছে সম্ভাব্যতার উপরে। বায়ুসেনার প্রধান বিএস ধানোয়া স্পষ্ট করেন, বালাকোটে আঘাত না হানলে পাকিস্তান পাল্টা এপারে যুদ্ধবিমান পাঠাত না।  

কিন্তু উপগ্রহ চিত্র দেখা যাচ্ছে, বালাকোটে জইশের মাদ্রাসাটি এখনও রয়েছে। সান ফ্রান্সিসকোর প্ল্যানেট ল্যাবস ইংক নামে একটি সংস্থা উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে দাবি করেছে, এয়ার স্ট্রাইকের পরও বালাকোটে অক্ষত রয়েছে মাদ্রাসা চত্বরের ৬টি ভবন। 

এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট উপগ্রহ চিত্র মেলেনি। কিন্তু প্ল্যানেট ল্যাবসের উপগ্রহ চিত্রে ৭২ সেন্টিমিটারের ছোট বস্তুও ধরা পড়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিলের ছবির সঙ্গে বর্তমান ছবির কোনও ফারাক চোখে পড়েনি।

ভারত সরকার জানিয়েছিল, ১২টি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান থেকে হাজার কিলোগ্রামের বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। আর এক বিশেষজ্ঞের দাবি, উপগ্রহ চিত্রে খানিকটা আঘাতের চিহ্ন মিললেও পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি মাদ্রাসা। অগ্নিকাণ্ডের চিহ্নও মিলেছে।  

বলে রাখি, সরকারের কাছে রাডারের ছবি পেশ করেছে বায়ুসেনা। তাতে নাকি স্পষ্ট, বায়ুসেনার আঘাতে খতম হয়েছে জইশের জঙ্গিরা। একইসঙ্গ মোবাইল টাওয়ার লোকেশনও নিশ্চিত করেছে, ঘটনাস্থলে তিনশোটি মোবাইল ছিল।

ZEENEWS TRENDING STORIES

By continuing to use the site, you agree to the use of cookies. You can find out more by Tapping this link